শনিবার (১৯ অক্টোবর) আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যেই লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, সেটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তবে এই লঘুচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কি না সেটি এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। আমরা ২৪ ঘণ্টা আগে ঘূর্ণিঝড়ের আপডেট দিয়ে থাকি।
তিনি বলেন, এই সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে। এছাড়া সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে।শুক্রবারও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে ভারি বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সর্বোচ্চ ১১৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে যশোরে। এই সময় ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ২০ মিলিমিটার।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ওয়েস্টার্ন ডিসটার্বেন্সের কারণে এই বৃষ্টি। সেই সঙ্গে রয়েছে দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার প্রভাব। সাগরও উত্তাল রয়েছে।
আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুসারে, আগামী ২১ কিংবা ২২ অক্টোবর বঙ্গোপসাগরে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ও এর আশপাশের এলাকায় একটি ঘূর্ণিবায়ুর আবর্তন তৈরি হতে পারে। এটি শক্তি অর্জন করে লঘুচাপে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, এই লঘুচাপ আরও শক্তি অর্জন করে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। অক্টোবরে এই অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হলে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘূর্ণিবায়ু আদৌ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কি না, জানতে আরও দুই থেকে তিন দিন অপেক্ষা করতে হবে।’
ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘দানা’। এটি কাতারের দেয়া নাম।
এদিকে আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার ব্যক্তিগত আইডিতে লিখেছেন, ‘১৮ অক্টোবর আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে, লঘুচাপ থেকে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টি ২৪ অক্টোবর দুপুরের পর থেকে ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যার মধ্যে উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। সম্ভাবনা খুবই বেশি অক্টোবর মাসের ২২ তারিখ থেকে সমুদ্র উত্তাল হওয়ার।’