আগামী ১ জুন সেখানেই ভারতের সঙ্গে বিশ্বকাপের অফিশিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। নিউইয়র্কের মাঠটিতে দুটি আন্তর্জাতিক দলের মধ্যে প্রথম ম্যাচ হবে সেটি। আগামী ১০ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এখানেই বিশ্বকাপের মূল টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
নিউইয়র্কের স্টেডিয়ামটিকে বলা হচ্ছে ক্রিকেটের প্রথম ‘মডিউলার’ স্টেডিয়াম। সাধারণত স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি এমন স্থাপনাকে চাইলে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গাতেও নিয়ে যাওয়া যায়। এটি স্থায়ী স্থাপনা নয়। ফলে তৈরি করতেও তুলনামূলক অনেক কম সময় লাগে।
নিউইয়র্ক শহরের পূর্বে প্রায় ২৫ মাইল বা ৪০.২ কিলোমিটার দূরে এ ভেন্যুর অবস্থান, যেটির গ্যালারির আসনসংখ্যা ৩৪ হাজার। গতকাল বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করেছেন বিশ্বের দ্রুততম মানব ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত উসাইন বোল্ট। এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনের জন্য প্রস্তুত এটি।
প্রায় শূন্য থেকে গত পাঁচ মাসে বানানো হলো এ স্টেডিয়াম। গত ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে এ স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ শুরু হয়। গত বছর ফর্মুলা ওয়ানের লাস ভেগাস গ্রাঁ প্রিঁর অস্থায়ী গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডকেও এখানে স্থাপন করা হয়েছে। ব্যবহার করা হবে ড্রপ-ইন পিচ।
অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে বানানো পিচগুলো জাহাজে করে ফ্লোরিডা, সেখান থেকে সড়কপথে নিউইয়র্কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মূল মাঠের পাশাপাশি অনুশীলনের জন্যও পিচ আনা হয়েছে। আইসিসির ইভেন্টের প্রধান ক্রিস টেটলি সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘একটা পার্ককে আমরা বিশ্বমানের দেখতে একটি স্টেডিয়াম বানিয়েছি।’
আগামী ১ জুন শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপের আগে নতুন এ ভেন্যুতে পরীক্ষামূলক ইভেন্ট আয়োজন করবে আইসিসি। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে এবার যৌথভাবে আয়োজিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যুক্তরাষ্ট্রের ১৬টি ম্যাচের মধ্যে ৮টিই হবে এ মাঠে। ৩ জুন প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ৯ জুন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচও হবে নিউইয়র্কের নতুন মাঠে।
আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো প্রস্তুতি ম্যাচের সূচি ঘোষণা করা হয়নি। ১ জুন এ মাঠেই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ভারত ও বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হবে প্রস্তুতি ম্যাচটি। বিশ্বকাপের আগে দুই দলেরই একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ হতে পারে এটি।
আইসিসির প্রস্তাবিত সূচি অনুযায়ী ২৮ মে ডালাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বাংলাদেশের আরেকটি প্রস্তুতি ম্যাচ রাখা আছে। তবে বিসিবির আপত্তিতে তা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে জানা গেছে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলার পর তাদেরই বিপক্ষে আরেকটি ম্যাচ খেলার কোনো অর্থ হয় না। তা ছাড়া প্রস্তুতি ম্যাচে প্রতিপক্ষ হিসেবে বড় কোনো দলকে চায় বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হিউস্টনের প্রেইরি ভিউতে ২১, ২৩ ও ২৫ মে তিন ম্যাচের একটি সিরিজ খেলতে গতকাল রাতেই রওনা হয়ে গেছে বাংলাদেশ দল।
বিশ্বকাপের মূল আসরে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ আগামী ৮ জুন, ডালাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।