মিত্র দেশ জার্মানিতে মার্কিন প্রসিডেন্ট হিসেবে শেষ বারের মতো ঐতিহাসিক রাষ্ট্রীয় সফর করেন জো বাইডেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তাকে বহনকারী বিমান অবতরণ করে বার্লিনের বিমানবন্দরে। কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে নেয়া হয় হোটেলে।
মাত্র ২৪ ঘণ্টার সফরের সূচি অনুযায়ী শুক্রবার স্থানীয় সময় সকালে জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ভাল্টার স্টাইনমাইয়ারের সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে তার বাসভবন বেলভিউ প্যালেসে যান বাইডেন। সেখানে তাকে দেয়া হয় গার্ড অব অনার।প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কুশল বিনিময় শেষে জো বাইডেন যোগ দেন প্রেস কনফারেন্সে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে বাইডেনকে সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক ‘বুন্ডেজফারডিনস্টঅরডেন্স’ ক্রুয়েজ পরিয়ে দেন জার্মান প্রেসিডেন্ট স্টাইনমাইয়ার। এ সময় তাকে `গণতন্ত্রের আলোকবর্তিকা’ আখ্যা দেন জার্মান প্রেসিডেন্ট।
এদিন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। লেবাননে দ্রুত শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে এমন আশা প্রকাশ করে বাইডেন বলেন, হামাস প্রধান নিহতের পরও গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করা কঠিন হবে।
এছাড়া দুই নেতার বৈঠকে আলোচনা হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও। শলজ সতর্ক করে বলেন, চলমান যুদ্ধে ন্যাটো জড়িয়ে পড়লে বিপর্যয় অনিবার্য হয়ে পড়বে। এসময় বাইডেন জানান, বার্লিনের মতো ওয়াশিংটনও কিয়েভের পক্ষেই থাকবে।
পরে জার্মান চ্যান্সেলরের কার্যালয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। এ সময় রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে ন্যাটোর ভূমিকা, ইসরাইল ফিলিস্তিনের চলমান সংকট নিরসন, জি-সেভেনসহ আঞ্চলিক ও ট্রান্স আটলান্টিক নানা বিষয় ছিল আলোচনার টেবিলে।
দিনভর বিরতিহীন সফর শেষে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় এয়ারফোর্স ওয়ানের বিশেষ ফ্লাইটে বার্লিন ত্যাগ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।