শনিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৪
শনিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৪
26 C
Dhaka
Homeবিশ্বট্রাম্পের জয় হবে ইরানের দুঃস্বপ্ন

ট্রাম্পের জয় হবে ইরানের দুঃস্বপ্ন

প্রকাশ: নভেম্বর ৩, ২০২৪ ৫:৪২

হাতে সময় খুব বেশি নেই ইরানের। মার্কিন নির্বাচনের আগেই ইসরায়েলে বসাতে হবে মরণ কামড়। নয়তো হামলার প্রতিক্রিয়ায় যে মার্কিন ঝড় আসবে, তাতে ধ্বংস্তূপে পরিণত হতে পারে ইরান। তেহরানের কর্মকর্তাদের মধ্যে এমন শঙ্কা দিনে দিনে প্রবল হচ্ছে। এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী ৫ নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও ক্ষমতায় ফিরতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে ক্ষেত্রে একচেটিয়া ইসরায়েলি হামলা আর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় মাটির সঙ্গে মিশে যেতে পারে ইরান।

মার্কিন নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক ভোটাভুটি হবে মঙ্গলবার। তবে আগাম ভোট দেওয়ার হিড়িক পড়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এরই মধ্যে দেশটির ৫ কোটির বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন। আবার নির্বাচন যে এবার একতরফা হচ্ছে না, তা-ও মোটামুটি নিশ্চিত। জনমত জরিপের প্রতিটিতেই এগিয়ে ছিলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তবে গেল কয়েক সপ্তাহে সেই ব্যবধান কমিয়ে এনেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

কিন্তু ট্রাম্প যদি আবারও হোয়াইট হাউজে ফেরেন, তাতে পাল্টে যাবে মধ্যপ্রাচ্যের সব হিসাব-নিকাশ। এখন এই, টান টান উত্তেজনা চলছে, তা আর মোটেও থাকবে না। ইরানের প্রতি আগে থেকেই ট্রাম্পের ক্ষোভ ছিল। সম্প্রতি তার ওপর আততায়ী হামলার ঘটনা ঘটে। মার্কিন গোয়েন্দারাও আগে থেকেই বলে রেখেছে, ট্রাম্পের জীবনের জন্য ইরান হুমকিস্বরূপ। সব মিলিয়ে ট্রাম্প পুন-নির্বাচিত হলে ইরানের জন্য খারাপ সময় অপেক্ষা করছে।

ইরানের শঙ্কা ট্রাম্প নির্বাচিত হলে শুধু তেহরানই, বিপদে পড়বে লেবানন, ইরাক ও ইয়েমেনে থাকা তার মিত্ররা। আবার ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালাতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন ট্রাম্প। এছাড়া ইরানের ভেতর ও বাইরে আততায়ী হামলা চালিয়ে হত্যাকাণ্ড এবং তেহরানের তেল সেক্টরও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে। এমনকি আরব দেশ ও পশ্চিমা দেশগুলোকে ইরানি তেল না কিনতে চাপ দিতে পারেন ট্রাম্প।

এর আগে ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন পরমাণু ইস্যুতে ইরানকে নিজের মতো করে চাপ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এতে করে ছয় জাতির সঙ্গে করা ইরানের পরমাণু চুক্তিও ভেস্তে যায়। এ ছাড়া ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এরপর ট্রাম্পকে হত্যার প্রতিজ্ঞা করে ইরান। এখন মার্কিন মুলুকে ফের ট্রাম্পের পতাকা উড়লে মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যে পরিবর্তন আসতে পারে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষমতায় কমলা বা ট্রাম্প যিনিই আসুন না কেন, তাতে ইরানের খুব একটা সুবিধা হবে না। ট্রাম্প ক্ষমতায় বসলে সেটা ইরানের জন্য বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। কারণ ইসরায়েলের প্রতি ট্রাম্পের অগাধ সমর্থন রয়েছে। আর তাই ট্রাম্প হয়ত ইরানের ওপর কঠিন শর্ত আরোপ করবেন, নচেৎ দেশটির পরমাণু কর্মসূচির ওপর ইসরায়েলি হামলার অনুমোদন দেবেন।

 

আরও পড়ুন
spot_img

জনপ্রিয় খবর