বৃহস্পতিবার, জুন ২৬, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, জুন ২৬, ২০২৫
31.8 C
Dhaka

‘কিছু হলেই আসিফ মাহমুদকে দায় দিয়ে দাও’

0

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি বা শ্রমিক দলের কেউ জড়িত ছিলেন না বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। নগরভবনে হামলাকারীদের সঙ্গে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে অভিযোগ তার।

ইশরাকের এই অভিযোগের পর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, কিছু হলেই তার ও ওপর দায় দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আসিফ মাহমুদ লেখেন, ‘এর আগেও একবার আন্দোলনরত দুই গ্রুপ মারামারি করে মাথা ফাটাল, আজও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। দখলকৃত নগরভবনে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করেই দুই গ্রুপের সংঘর্ষ।’

ইশরাককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “এর আগেও নগর ভবনের দরজায় তালা লাগিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে বলেছেন ‘আসিফ মাহমুদ সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে’।”

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘কিছু হলেই আসিফ মাহমুদকে দায় দিয়ে দাও। নিজ দলের কতিপয় ব্যক্তি দ্বারা প্ররোচিত হয়ে আন্দোলনের ট্র্যাপে পরার দায়ও আসিফ মাহমুদকে দিয়ে দাও।’

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নগর ভবনে ইশরাক হোসেন সমর্থিত শ্রমিক দলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক পক্ষ আরেক পক্ষের কাউকে পেলেই গণপিটুনি দেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক ইউনিয়নের এক পক্ষের সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান প্রিন্স দলবল নিয়ে নগর ভবনে ঢোকার সময় শ্রমিক ইউনিয়নের আরেক পক্ষের সভাপতি আরিফ চৌধুরীর অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের কয়েকজন আহত হন।

যদিও ইশরাকের অভিযোগ, নগর ভবনে নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে নাগরিকসেবা ব্যাহত করে আন্দোলন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে পরিকল্পিত হামলার করা হয়েছে। বিএনপির স্লোগান ব্যবহার করে হামলা চালিয়ে দলকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র হয়েছে বলে অভিযোগ তার।

গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, নগর ভবনে বহিরাগত ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দিয়ে একটি নির্মম হামলা চালানো হয়েছে, যার লক্ষ্য ছিল আমাদের আন্দোলনের অগ্রভাগে থাকা পরিচিত নেতাকর্মীদের হত্যা করা।

 

নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত ডোনাল্ড ট্রাম্প!

0

এবার ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। পাবলিকান আইনপ্রণেতা বাডি কার্টার এই পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে মনোনীত করেছেন।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পলিটিকস।

এ বিষয়ে বাডি কার্টার নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটিকে একটি চিঠি লিখেছেন। তিনি ঘোষণা করেন যে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাতের অবসান ঘটাতে এবং বিশ্বের সবচেয়ে বিধ্বংসী পরমাণু অর্জন থেকে বিরত রাখতে ট্রাম্পের ‘অসাধারণ ও ঐতিহাসিক ভূমিকা’ রয়েছে।

 

ইরানে ভয়ের বাতাস : আসছে কি নতুন দমন-পীড়ন?

0

ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলা ছিল ইরানে দীর্ঘদিন ধরে চলা মোসাদের গুপ্তচর নেটওয়ার্কের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ। টার্গেট করা হয়েছিল ইরানের সামরিক নেতৃত্ব থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু বিজ্ঞানীদেরও। এসব তথ্য মোসাদ সংগ্রহ করেছে এমনসব লোকের মাধ্যমে, যারা ইরানের নিজস্ব নাগরিক।

এখানেই শুরু ইরানের আতঙ্ক। কারণ শত্রু যদি বাইরের হয়, তাহলে চেনা সহজ। কিন্তু যখন শত্রু নিজের দেশেরই ভেতরে, নিজের পরিচয়ে- তখন রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতিক্রিয়া হয় আরও তীব্র, আরও দমনমূলক।

কার্যকর হওয়া ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি নিয়ে বিশ্ববাসী যতই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলুক না কেন, ইরানের অভ্যন্তরে এখন এক ভয়ের বাতাস বইছে। যুদ্ধক্ষেত্রের গোলাগুলি থেমেছে, কিন্তু শুরু হয়েছে নতুন এক যুদ্ধ- নিজেদের জনগণের বিপক্ষে।

বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধ চলাকালে ইরানের নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে ইসরায়েলের প্রবেশ বড় এক ব্যর্থতা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। মোসাদের সফল অনুপ্রবেশ তেহরানের ভেতরে চরম সন্দেহ ও অবিশ্বাস তৈরি করেছে। এই সুযোগেই সরকার ভিন্নমত দমনে নামে আরও কঠোর হাতে।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) সংবাদমাধ্যম বিবিসি পারসিয়ান তাদের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশটির কেরমানশাহ প্রদেশের সরকারি কৌঁসুলি হামিদরেজা কারিমি জানিয়েছেন, ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্ন’ ঘটানোর অভিযোগে ১১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন ইউরোপীয় নাগরিক রয়েছেন, যার বিরুদ্ধে সরাসরি গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে।

কারিমি আরও জানান, আটকদের ছোট একটি অংশ গুপ্তচর সন্দেহে গ্রেপ্তার হলেও, অধিকাংশের অপরাধ হচ্ছে-‘রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণা’, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট, বিদেশি সংযোগ রাখা বা সরকারের সমালোচনার মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।

গত কয়েক দিনে কমপক্ষে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। যদিও তাদের নাম ও মামলা সংক্রান্ত বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। অন্যদিকে, দেশজুড়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও ডজনখানেক নাগরিক- সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার অভিযোগে।

এই দমননীতিকে আরও আইনগত শক্তি দিতে ইরানের পার্লামেন্ট সম্প্রতি একটি সংশোধিত আইন পাস করেছে, যা গুপ্তচরবৃত্তি মামলার দ্রুত বিচার এবং কঠোর সাজা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।

ইরানের বিচার বিভাগের মুখপাত্র বলেন, আগের আইনে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ চলাকালে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে কার্যকর বিচার সম্ভব ছিল না। এখন পার্লামেন্ট আমাদের সেই ক্ষমতা দিয়েছে, যাতে ‘উদাহরণস্বরূপ শাস্তি’ দেওয়া যায়।

মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, ইরান সরকার যুদ্ধের আবহকে ব্যবহার করছে ভিন্নমত ও নাগরিক স্বাধীনতা রুদ্ধ করার হাতিয়ার হিসেবে। তারা এটিকে ‘প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ’ নয়, বরং ‘প্রতিশোধমূলক দমননীতি’ বলে অভিহিত করছে।

প্রসঙ্গত, ইরানে সংস্কারের ডাক বহু পুরনো। কিন্তু বাস্তবতা হলো, দেশটির ইতিহাসে প্রতিটি সংকটই পরিণত হয়েছে আরও কঠোর শাসনের পটভূমিতে। যুদ্ধবিরতির পর শত্রুর হাত থেকে হয়তো রক্ষা পেয়েছে ইরান, কিন্তু সাধারণ মানুষ আজ নিজেদের দেশেই পড়েছে নতুন এক লড়াইয়ের মুখে- এক শ্বাসরুদ্ধকর, ভয়মিশ্রিত দমন-পীড়নের লড়াই।

 

ইরানে আবারও বিস্ফোরণ

0

ইরান ইসরায়েলে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এ ঘোষণার পরও ইরানে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।মঙ্গলবার (২৪ জুন) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইরানের সংবাদমাধ্যম স্টুডেন্ট নিউজ এজেন্সি ইসনা জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলের শহর বাবোলসারের কাছে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি এ তথ্য জানিয়েছে। এ ঘটনার পর শহরজুড়ে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনার পর ঘটনাস্থলের দিকে অ্যাম্বুলেন্স রওনা দিয়েছে।এদিকে ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের পর ইরানে হামলা হয়নি বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে ইসরায়েলেরর সবশেষ অভিযানের ব্যাপারে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, তেহরানের কাছে সবশেষ হামলা চালানো হয়েছে। এ হামলায় রাডার ব্যবস্থাপনা ধ্বংষ করা হয়েছে। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের পর ইরানে হামলা চালায়নি ইসরায়েল।

বিবৃতিতে বলা হয়, ফোনালাপে ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েল যুদ্ধের সব উদ্দেশ্য অর্জন করেছে। তিনি যুদ্ধবিরতির স্থিতিশীলতার প্রতিও আস্থা প্রকাশ করেছেন।

এর আগে স্কাই নিউজ জানিয়েছে, ইসরায়েলের এ হামলার আগে দেশটিকে হামলা না চালানোর আহ্বান জানান ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলকে কঠোরভাবে সতর্ক করে বলেন, ইরানে যেন আর ইসরায়েল আক্রমণ না চালায়। ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তীব্র হামলার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করায় এ কঠোর সতর্কবার্তা দেন ট্রাম্প।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, ‘ইসরায়েল, বোমাগুলো ফেলো না। তিনি আরও লেখেন, যদি এটা করো তাহলে তা হবে যুদ্ধবিরতির বড় লঙ্ঘন। এখনই তোমার পাইলটদের বাড়ি ফিরিয়ে আনো।

 

তেলের দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই : জ্বালানি উপদেষ্টা

0

আগামী মাসে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই বিপিসির একটি জাহাজ চলে এসেছে। যদি যুদ্ধ দীর্ঘায়িত না হয় তাহলে মনে হয় না এটার প্রভাব পড়বে না। আমরা তেলের দামও বাড়াব না, ভর্তুকিও বাড়াব না।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। জ্বালানি খাতে ভর্তুকি অনেক বেশি এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সঠিক মূল্য নির্ধারণ করা প্রয়োজন, অন্যথায় কোনো চুক্তি অনুমোদিত হবে না।

উপদেষ্টা বলেন, অন্য শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো শহরকেন্দ্রিক হওয়ায় গ্যাসের চাপ কম হয়, এটি ছাতকে হওয়ায় গ্যাসের চাপ বেশি হবে। আগে চুক্তির যে অসুবিধা ছিল তা এখন অপসারণ করা হয়েছে এবং এই চুক্তিতে দুটি নতুন বিষয় সংযুক্ত হয়েছে। নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে এবং বার্কের অধীনে আনা হয়েছে, ফলে বার্কের মাধ্যমে মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধি হবে।

এর আগে জালালাবাদ গ্যাস ও লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের সঙ্গে গ্যাস বিক্রির একটি চুক্তি সই হয়। চুক্তির আওতায় লাফার্জ তার ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১৬ এমএমসিএফডি গ্যাস পাবে।

এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ ভাগ নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে বাংলাদেশে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করবে ইইউভুক্ত কযেকটি দেশ। অনুষ্ঠানে পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান, ইইউ, সুইজারল্যান্ড ও স্পেনের রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন।

 

ইরানজুড়ে বিজয় উৎসব

0

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার ১২ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসানে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ইরানজুড়ে পালিত হচ্ছে বিজয় উৎসব। যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার পরপরই ইরানের রাজনৈতিক ও সামরিক মহলে দেখা গেছে উচ্ছ্বাস।

তেহরানসহ দেশের বিভিন্ন শহরে রাস্তায় নেমে আনন্দ মিছিল করেছে হাজার হাজার মানুষ। স্লোগানে মুখরিত হয়েছে রাজধানী, আগুন জ্বালিয়ে উদযাপন করা হয়েছে ‘জয়’।

যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই ইরানের শীর্ষ নেতারা একে ‘ঐতিহাসিক জয়’ হিসেবে আখ্যা দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা-এর খবরে বলা হয়, এ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ইরানের বিভিন্ন শহরে বিজয় র‍্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ইরানের সহরাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ রেজা আরেফ বলেন, এই বিজয়ের মাধ্যমে ইরান শুধু সামরিক নয়, কূটনৈতিক অঙ্গনেও প্রমাণ করেছে-আমেরিকা ও পশ্চিমা শক্তির শিং ভেঙে দেওয়ার মতো সক্ষমতা আমাদের আছে। এটাই ইরানের প্রকৃত শক্তির বহিঃপ্রকাশ।

এদিকে ইরানের সংসদের স্পিকার ও প্রাক্তন আইআরজিসি (ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড) কমান্ডার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফের উপদেষ্টা মাহদি মোহাম্মাদি একে একটি যুগান্তকারী বিজয় বলে মন্তব্য করেন। এক্স-এ দেওয়া বার্তায় তিনি লিখেছেন, একটি নতুন যুগের সূচনা হলো।

পারমাণবিক ইস্যুতে নিজের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে, পারমাণবিক শক্তি অধিদপ্তর-এর মুখপাত্র বেহরুজ কামালভান্দি জাতীয় টেলিভিশনে বলেন, আমাদের পারমাণবিক কর্মসূচিকে কেউ উপড়ে ফেলতে পারবে না। আমাদের সক্ষমতা ও বিজ্ঞানভিত্তিক অগ্রগতির কারণে এই খাত আর কখনও থেমে থাকবে না।

বিশ্লেষকদের মতে, এই যুদ্ধবিরতি ইরানের জন্য কৌশলগতভাবে একটি সফলতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কারণ এতে সরাসরি সংঘাত থেকে সরে এসে ইরান একটি ‘শক্ত অবস্থান’ নিয়ে আলোচনায় বসার সুযোগ পেয়েছে। পাশাপাশি নিজ দেশের জনগণের কাছে নিজেদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ও কূটনৈতিক দক্ষতা তুলে ধরার সুযোগও তৈরি হয়েছে।

ইরানের শহরগুলোতে বিজয় উদযাপনে মুখর জনগণ। রাস্তায় নেমে তারা ‘আমেরিকা নিপাত যাক’, ‘ইসরায়েল ধ্বংস হোক’ ইত্যাদি স্লোগানে মুখর হয়। বহু জায়গায় দেখা গেছে পতাকা মিছিল, ধর্মীয় সংগীত ও বিপ্লবী স্লোগান।

তবে আন্তর্জাতিক কূটনীতিক মহলে যুদ্ধবিরতির স্থায়িত্ব নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান-ইসরায়েল বৈরিতা বহু দশকের, ফলে এই যুদ্ধবিরতি কতদিন স্থায়ী হবে, তা নিশ্চিত নয়।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের ভুখণ্ডে হামলা চালায়, যার লক্ষ্য ছিল দেশটির পারমাণবিক স্থাপনাগুলো। জবাবে ইরানও পালটা হামলা চালায় ইসরায়েলে। সংঘাত চরমে পৌঁছালে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে সমন্বয় করে ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালায়। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরান কাতার ও ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

শেষ পর্যন্ত, এই উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন, যা উভয় দেশ মেনে নিতে সম্মত হয়। এই ঘোষণার মাধ্যমে আপাতত এই সংঘাতের অবসান ঘটে।

ইরান বলছে, এই যুদ্ধবিরতি শুধুই সাময়িক বিরতি নয়, বরং এটা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে- তারা ভয় পায় না, বরং প্রতিরোধ করতে জানে। তেহরান মনে করছে, মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে তারা এখন আরও দৃঢ় ও আত্মবিশ্বাসী অবস্থানে।

 

সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে অবরুদ্ধ ও নির্যাতনের শিকার সংবাদকর্মী

0

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, রুমন জেয়ার্দ্দার জনির লেখনীতে চলতি মাসের ১৬ তারিখ, “সুদ ব্যবসায়ী রোজিনার অত্যাচারে নিঃস্ব অনেকে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে।” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয় জাতীয় সাপ্তাহিক বার্তা বিচিত্রা পত্রিকায়। পরবর্তীতে ফলোআপ নিউজের জন্য তথ্য সংগ্রহ ও সাক্ষাৎকার গ্রহনে ১৯ জুন (বৃহস্পতিবার) প্রতিবেদক রুমন ঘটনাস্থল মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানাধীন তরা ইউনিয়নে সুদ ব্যবসায়ী রোজিনার মুখোমুখি হলে, রোজিনা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় রোজিনার মেয়ে ঈশান আরও ২/৩ জন অজ্ঞাতনামা লোক নিয়ে মারমুখি হয়ে প্রতিবেদক রুমনকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। বিকাল ৪ টা ৪০ মিনিট হতে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত প্রায় ৪ ঘন্টা সময় তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। যা ঘিওর থানায় লিখিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তকারী অফিসার ঘিওর থানার সাব-ইন্সপেক্টর মুক্তার হোসেনের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বার্তা বিচিত্রাকে জানান, “থানায় উভয় পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।”

উল্লেখ্য, রোজিনার সুদের করবার ও ঋণ নিয়ে সুদের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া সাধারণ মানুষের মানবেতর জীবন-যাপনের বেশ কিছু তথ্যচিত্র ইতোমধ্যে বার্তা বিচিত্রার হাতে এসে পৌছেছে। এ ধরনের সুদ কারবারিরা সাধারনত যে কোনো ব্যাংকের চেকের পাতা ও ফাঁকা স্ট্যাম্পে গ্রাহকের স্বাক্ষর রেখে বিভিন্ন অংকের টাকা চড়া সুদে লোন দিয়ে থাকে। বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে সুদ-আসলে কয়েকগুণ টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারলে আগেই নিয়ে রাখা ফাঁকা স্ট্যাম্প ও ব্যাংক চেকে তারা তাদেরে ইচ্ছা মতো টাকা বসিয়ে গ্রাহকদের বিভিন্নভাবে হয়রানী করে থাকে। আসলেরও কয়েকগুণ বেশি সুদের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও সাধারন জনগন। সুদের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে না পেরে তারা এক সময় নিঃস্ব হয়ে যায় এবং চেকের মামলা মাথায় নিয়ে জেল খাটার ভয়ে নিজ এলাকা ছেড়ে অন্যত্র যাযাবরের মতো মানবেতর জীবন-যাপন করে।

এ বিষয়ে কথা হলে আইনজীবী এ্যাডভোকেট ইয়াছিন জাহান নিশান জানান, “সমবায় অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া কেউ সুদের ব্যবসা করতে পারে না। সমবায় সমিতি আইন অনুযায়ী সুদের ব্যবসা করতে হলে সমবায় অধিদপ্তরের অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। যদি কোনো ব্যক্তি বা সমিতি সমবায় অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া সুদের ব্যবসা করে, তবে তা অবৈধ এবং বেআইনি হিসেবে গণ্য হবে। বিশেষভাবে, সমবায় সমিতির নামে সুদের ব্যবসা করা একটি গুরুতর অপরাধ এবং এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।”

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তদন্তকারী অফিসার ঘিওর থানার সাব-ইন্সপেক্টর মুক্তার হোসেনের তদন্ত রিপোর্ট ও বার্তা বিচিত্রার অনুসন্ধান সমন্বয়ে প্রতিবেদন দেখুন আগামী সংখ্যায়।

ফ্ল্যাট ও ভবনে বিনিয়োগ করে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে

0

আজ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় বাজেট চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। সেখানে ২ জুন ঘোষিত বাজেটে আয়কর, শুল্ক, ভ্যাট–সংক্রান্ত কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাজেট কার্যকর করা হবে।

এবারের বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ বন্ধ করাই বড় পরিবর্তন। ২ জুন প্রস্তাবিত বাজেটে অ্যাপার্টমেন্ট বা ফ্ল্যাট এবং ভবন কেনায় কালোটাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত রাখা হয়। তবে আগের চেয়ে করের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছিল। বলা হয়, এলাকাভেদে আয়তন অনুসারে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দিলেই টাকার উৎস সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে বলে ধরে নেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভাগীয় শহর, জেলা শহর, পৌর এলাকাভেদে প্রতি বর্গফুটে ১০০ থেকে ২ হাজার টাকা করহারের প্রস্তাব ছিল। এ ছাড়া একই সুবিধা পেতে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে এলাকাভেদে প্রতি বর্গফুটে ৫০ থেকে ৯০০ টাকা কর নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। এখন এসব সুযোগ বাতিল হলো।

এনবিআরের সূত্রগুলো বলছে, এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে অপ্রদর্শিত প্রায় ৪৭ হাজার কোটি টাকা ঘোষণায় এসেছে, অর্থাৎ সাদা হয়েছে। সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশ থেকে পাচার করা টাকা ফেরত আনার সুযোগ দেওয়া হলেও কেউ এ সুযোগ নেননি।

এদিকে আজ অর্থ মন্ত্রণালয় শুল্ক-করের পরিবর্তন নিয়ে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে। এবার দেখা যাক, শুল্ক-করে কী কী বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে।

আয়কর

১. পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানি যাদের পরিশোধিত মূলধনের অন্যূন ১০ শতাংশ শেয়ার আইপিও বা সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে হস্তান্তর হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে আয়ের সাড়ে ২২ শতাংশ করারোপ করা হয়েছে। তবে বিবেচ্য আয়বর্ষে সব ধরনের আয় ব্যাংক লেনদেনের মাধ্যমে সম্পন্ন করলে করহার ২০ শতাংশ হবে।

২. অন্য সব পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানির ক্ষেত্রে সাড়ে ২৭ শতাংশ করারোপ করা হয়েছে। তবে বিবেচ্য আয়বর্ষে সব আয় ব্যাংক লেনদেনের মাধ্যমে সম্পন্ন করলে করহার ২৫ শতাংশ।

৩. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ, বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বা কেবল তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষাদানে নিয়োজিত বেসরকারি কলেজের করহার ১৫ শতাংশের স্থলে ১০ শতাংশ হবে।

৪. সম্পত্তি হস্তান্তর হতে কর সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কর কর্তনের হার ৮ শতাংশ, ৬ শতাংশ ও ৪ শতাংশের স্থলে যথাক্রমে ৫ শতাংশ, ৩ শতাংশ ও ২ শতাংশ করা হয়েছে।

মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট

১. রিফাইন্ড পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে আগাম কর সাড়ে ৭ শতাংশের পরিবর্তে ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

২. ঝুট থেকে রিসাইক্লিং প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত তুলার উৎপাদন পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

৩. নারী উদ্যোক্তা কর্তৃক পরিচালিত বিউটি পারলারের স্থান ও স্থাপনাভাড়ার ওপর মূসক অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

৪. বলপয়েন্ট কলমের আমদানি পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি প্রদান করা।

৫. হার্টের রিং ও চোখের লেন্স আমদানির ক্ষেত্রে আগাম কর অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

শুল্ক

১. সব ধরনের পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানিতে ট্যারিফ মূল্যের পরিবর্তে ইনভয়েস মূল্যের ভিত্তিতে শুল্কায়ন–ব্যবস্থা চালু করতে চায় সরকার। এ জন্য ক্রুড পেট্রোলিয়াম পণ্যের ক্ষেত্রে নির্ধারিত ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ককে কমিয়ে ৩ শতাংশ এবং অন্য ক্ষেত্রে নির্ধারিত ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ককে কমিয়ে ৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

২. সৌরশক্তি উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতিকে আরও সহজলভ্য করার উদ্দেশ্যে সোলার ইনভার্টারের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হয়েছে।

৩. দেশে মানসম্পন্ন টায়ার উৎপাদনের জন্য টায়ার তৈরির অন্যতম কাঁচামাল টেকনিক্যাল স্পেসিফায়েড ন্যাচারাল রাবারের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

৫ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে ইরানে

0

স্থানীয় সময় শুক্রবার (২০ জুন) রাত ১টা ৩৩ মিনিটে ভূমিকম্প অনুভব করেন দেশটির মানুষ। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, কোম শহরে ভূমিকম্পটি উৎপত্তি হয়েছে। ভূমিকম্পটি ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) গভীরে, সেমনান শহর থেকে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার (২৩ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে আঘাত হানে।

তবে ইরানের তাসনিম বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫.২।

এ দিকে রাজধানী তেহরানের বাসিন্দারাও কম্পন টের পেয়েছেন। এ সময় তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয় ইসরায়েলি হামলার কারণে মাটি কেঁপে উঠেছে।

যদিও পরবর্তীতে জানা যায়, কোম শহরে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যেটির প্রভাব দেশের বিভিন্ন জায়গায় পড়েছে।

ভূমিকম্পের আঘাতে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও উদ্ধারকারী সংস্থাগুলো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ইরান একটি ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল এবং অতীতে দেশটিতে বড় ধরনের প্রাণঘাতী ভূকম্পন ঘটেছে। তবে এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

 

আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে ইরান

0

ইরানের বিপ্লবী গার্ডের বরাত দিয়ে রোববার (২২ জুন) বিবিসি জানায়, ইসরায়েলের ওপর সাম্প্রতিক হামলায় প্রথমবারের মতো ‘খায়বার’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইরান।

খায়বার ক্ষেপণাস্ত্রটি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারের সবশেষ মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলির মধ্যে একটি। আনুষ্ঠানিকভাবে খোররামশহর-৪ নামে পরিচিত। এটি দেশীয়ভাবে উৎপন্ন খোররামশাহর ক্ষেপণাস্ত্র সিরিজের ফোর্থ জেনারেশন।

২ হাজার কিলোমিটার পাল্লার খায়বার ক্ষেপণাস্ত্র দেড় হাজার কেজি ওজনের ওয়ারহেড বহনে সক্ষম, যা ইরানের মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভারী ওয়ারহেডগুলির মধ্যে একটি এটি। তরল জ্বালানিচালিত এই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে উড়ন্ত অবস্থায়েই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

এর পাশাপাশি বায়ুমণ্ডলের বাইরে ওয়ারহেডের গতিপথ সামঞ্জস্য করার সক্ষমতাও রয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্রটির। ইরানে নির্মিত এর আগের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর তুলনায় অনেকটাই নির্ভুলভাবে লক্ষবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এটি।

প্রযুক্তিগতভাবে খায়বারের সর্বোচ্চ গতি বায়ুমণ্ডলের বাইরে আনুমানিক ম্যাক ১৬। যা শব্দের গতির ১৬ গুণ এবং এর ভেতরে আনুমানিক ম্যাক ৮। প্রযুক্তিগতভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র এতটাই শক্তিশালী যে প্রচলিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে এই ক্ষেপণাস্ত্র আটকানো বেশ কঠিন।

উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন দিনগত রাত হঠাৎ ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।

হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার ও বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ ও দশজন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ ৪০০ এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

ইসরায়েলের হামলার পর পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে শুক্রবার রাতে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩ নামে’ অভিযান শুরু করে ইরান। তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ভেদ করে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে। এতে  হতাহত কম হলেও ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। চলমান এই সংঘাতের মধ্যে ২১ জুন দিনগত রাতে ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান—তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এতে এই যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।