শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
15 C
Dhaka

উপদেষ্টারা না আসা পর্যন্ত ইনকিলাব মঞ্চের শাহবাগে অবস্থানের ঘোষণা 

0

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে এ ঘোষণা দেনইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের।

তিনি বলেন, সরকারের উপদেষ্টারা শাহবাগে এসে জনগণের সামনে দাঁড়িয়ে জবাব না দেয়া পর্যন্ত এই স্থান ছাড়বো না। প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও এই অবস্থান ধরে রাখবো।

আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, এই জমিন শহিদ ওসমান হাদির রক্তে ভিজেছে। অথচ, এখন কেউ কেউ এসে আমাদের নির্দেশ দিতে চায়- এই কাজ করো না, ওই কাজ করো না। আমরা দেখছি, আপনারা ক্যান্টনমেন্টে গিয়ে হাজিরা দেন। আমাদের আর উপেক্ষা করা চলবে না।

তিনি আরও বলেন, শহিদ ওসমান হাদির রক্তের বিচার আদায়ের দাবিতেই রাজপথে নেমেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারের উপদেষ্টারা জনগণের সামনে এসে জবাবদিহি না করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়বো না।

ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব বলেন, সাধারণ মানুষ যতদিন আত্মমর্যাদা নিয়ে বাঁচতে না পারবে এবং একজন নারী যতদিন হিজাব পরে স্বাধীনভাবে চলাচল করতে না পারবে, ততদিন প্রকৃত স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে না।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগে অবস্থান নেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যরা। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক জনসমাগম সৃষ্টি হতে থাকে। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এ এলাকায়।

শাহবাগে হাদি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত, দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। ‘আমরা সবাই হাদি হবো, যুগে যুগে লড়ে যাবো’ স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো শাহবাগ।

জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ছিলেন শহিদ শরিফ ওসমান হাদি। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।

এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে একটি চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা হাদিকে মাথায় গুলি করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানেই তিন দিন পর ১৮ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

 

ঢাকার খদ্দর বাজার মার্কেটে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট

0

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগুন লাগে। আগুন লাগার পর নিচতলার মার্কেটগুলোতেথাকা ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা দ্রুত ভবন থেকে বেরিয়ে আসেন।

ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রোজিনা আকতার বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট কাজ করছে।

ফায়ার সা‌র্ভিস অ্যান্ড সি‌ভিল ডি‌ফেন্স অধিদপ্তরের মি‌ডিয়া শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার ব‌লেন, বাণিজ্যিক আট তলা ভবনটির ছাদের ওপরে থাকা গোডাউনে আগুন লে‌গে‌ছে।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় এবং রাস্তায় মানুষের ভিড় থাকায় শুরুতে পানির উৎস পেতে বেগ পেতে হলেও কর্মীরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এ ছাড়া আগুন লাগার কারণ বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

 

তারেক রহমান ১৯ বছর পর বাবার কবর জিয়ারত করলেন 

0

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত শহীদ জিয়ার কবরে পৌঁছানএবং জিয়ারত সম্পন্ন করেন।

এ সময় শহীদ জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে দোয়া ও মোনাজাত করেন তারেক রহমান। তার সঙ্গে মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস, সালাউদ্দিন আহমদসহ বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, এদিন দুপুর থেকেই তারেক রহমানের কবর জিয়ারতকে কেন্দ্র করে চন্দ্রিমা উদ্যান ও মাজার এলাকায় নেতাকর্মীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। ব্যানার-ফেস্টুন হাতে কয়েক হাজার নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হন।

বিশৃঙ্খলা এড়াতে এবং তারেক রহমানের নিরাপত্তায় পুলিশ, বিজিবি, আনসারসহ সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সময় ২৪ ডিসেম্বর দিনগত রাত সোয়া ১২টায়  লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে তারেক রহমানকে বহনকারী বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিজি-২০২ ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। তার সঙ্গে স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান ছিলেন। বিমানটি বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে যাত্রা করে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে বিমানটি শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরন করে। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরলেন তারেক রহমান।

ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে প্রথমে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে উপস্থিত নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি। এরপর তারেক রহমানকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন তার শাশুড়ি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান এবং দেশে থাকা পরিবারের অন্য সদস্যরা।

বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে লালসবুজ রঙে সাজানো একটি বাসে করে রাজধানীর পূর্বাচল ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত সমাবেশস্থলে পৌঁছান তারেক রহমান। সেখানে ১৬ মিনিট বক্তব্য দিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা খালেদা জিয়াকে দেখতে যান তিনি। মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে রাজধানীর গুলশানে নিজের বাসভবনে সপরিবারে পৌঁছান তিনি।

 

বিপিএল যেভাবে দেখবেন টেলিভিশন ও অনলাইনে

0

অপেক্ষার পালা ফুরোবার সময় হয়ে এলো, ঘড়ির কাটায় ৩টা বাজলেই শুরু হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের(বিপিএল) দ্বাদশ আসর। নানা শঙ্কা, বিতর্ক কাটিয়ে নতুনত্বের বার্তা দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে বিপিএলের এবারের। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক সিলেট টাইটান্স আর রাজশাহী ওয়ারিয়র্স।

বিপিএলের সিলেট পর্ব মাঠে বসে দেখতে হলে গুনতে হবে সর্বনিম্ন ২০০ আর সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা। বিপিএলে উন্মাদনা তো আর শুধু গ্যালারিতেই আটকে থাকে না। দেশের কোটি ক্রিকেট প্রেমী তাকিয়ে থাকেন টেলিশন কিংবা মোবাইলের স্ক্রিণে। প্রশ্ন হলো- তারা কিভাবে দেখবেন খেলা।

বাংলাদেশ থেকে টেলিভিশনে খেলা দেখা যাবে টি-স্পোর্টস ও নাগরিক টিভিতে। বিপিএলের দ্বাদশ আসরের টেলিভিশন স্বত্ত্ব পেয়েছে দুইটি চ্যানেল। অনলাইনে খেলা যাবে ট্যাপম্যাড অ্যাপ-এ।

পাকিস্তানে টেলিভিশনে খেলা সম্প্রচার করবে এ স্পোর্টস। অনলাইনে দেখা যাবে ট্যাপম্যাড, তামাশা, মাইকো অ্যাপ-এ। ভারতে শুধু মাত্র ফ্যানকোড এ।

গত কয়েক আসরে বিপিএলের সম্প্রচার নিয়ে দর্শকদের মাঝে ক্ষোভ ছিল অনেক। সমালোচনার তীর ছিল সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান রিয়াল ইম্প্যাক্টের দিকে। সেখানে পরিবর্তন এসেছে এবার। নতুন করে বিপিএল সম্প্রচারের দায়িত্বে পেয়েছে টিপিটি নামক প্রতিষ্ঠান।

ইতোমধ্যে দামী প্রযুক্তির সব ক্যামেরা সেটআপ নিয়ে এসে ভালো মানের সম্প্রচারের আশা দেখাচ্ছে তারা। এবারের বিপিএলে দর্শকদের ভালো মানের সম্প্রচার উপহার দিতে চায় বিসিবি।

শিলিগুড়িতে বাংলাদেশিদের জন্য হোটেল বন্ধ

0

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া। হোটেল ব্যবসায়ীদের সংগঠনেরজয়েন্ট সেক্রেটারি উজ্বল ঘোষ জানিয়েছিলেন, গত বছরের ডিসেম্বরে তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে সেবার শিক্ষার্থী ও চিকিৎসা নিতে আসা বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা শিথিল ছিল। কিন্তু এখন থেকে আর কোনো বাংলাদেশিকেই তারা হোটেল দেবেন না।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে, আমাদের সদস্যরা বাংলাদেশিদের কাছে হোটেল ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু মানবিক কারণে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও অসুস্থ মানুষদের কাছে ভাড়া দেওয়া হচ্ছিল। যারা ভারতে পড়াশোনা ও চিকিৎসার জন্য এসেছেন। কিন্তু বাংলাদেশে (কথিত) সহিংসতা এবং ভারত বিরোধী বক্তব্যের কারণে আমরা আর কোনো বাংলাদেশির কাছে হোটেল ভাড়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি বলেছেন, তাদের সংগঠনের অধীনে শিলিগুড়িতে ১৮০টি হোটেল আছে। যারা সবাই কঠোরভাবে এ নিষেধাজ্ঞা মেনে চলবেন।

এ ছাড়া এই সংগঠনের বাইরে থাকা আরও ৫০টি হোটেলও বাংলাদেশিদের কাছে ভাড়া দিচ্ছে না বলে দাবি করেছে একটি সূত্র।

প্রতিবছর অনেক বাংলাদেশি শিক্ষা, পর্যটন ও চিকিৎসার জন্য শিলিগুঁড়ি যান বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

শীতকালে ফুলকপি খাবেন না, তা কি হয়?

0

শীত এলেই বাজার ভরে যায় টাটকা ফুলকপিতে। সবজি হিসেবে সবচেয়ে পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেফুলকপি। এটি রান্না করা সহজ। তরকারি কিংবা ভাজি অনেক ভাবেই এটি খাওয়া যায়। তবে ফুলকপি খেলে কি সত্যিই গ্যাস হয়? পরিমাণে বেশি ফুলকপি খেলে গ্যাস ও হজমের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। অতিরিক্ত বা ভুলভাবে ফুলকপি খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে, অনেকেই জানেন না। গ্যাসট্রিকের সমস্যা থাকলে ফুলকপি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।

  • ফুলকপির ক্ষতিকর দিক

ফুলকপি মূলত ক্রুসিফেরাস সবজি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। ব্রকলি, বাঁধাকপি ও ব্রাসেলস স্প্রাউটসহ আরও কিছু সবজি রয়েছে, যা এই পরিবারের অংশ। এসব সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফোলেট, ভিটামিন কে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবারের মতো পুষ্টি থাকলেও এগুলো হজম করা তুলনামূলক কঠিন, বিশেষ করে কাঁচা অবস্থায়। এই ধরনের সবজি বেশি পরিমাণে খেলে হজমের সমস্যাও হতে পারে। তাই, এটি সহজেই পেট ফাঁপা বা গ্যাসের সমস্যা তৈরি করতে পারে।

  • কেন ফুলকপি খেলে পেট ফাঁপা ও গ্যাস হয়

ফুলকপিসহ সকল ধরণের ক্রুসিফেরাস সবজিতে রাফিনোজ নামের এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট থাকে। কিছু উদ্ভিদে রাফিনোজ প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়, কিন্তু আমাদের শরীরে এটি ভেঙে ফেলার জন্য উপযুক্ত এনজাইম থাকে না। এর অর্থ হলো যখন আপনি এই কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খান, তখন এটি হজম না হয়ে সরাসরি পরিপাকতন্ত্রের শেষ অংশ বৃহদান্ত্রে পৌঁছে যায়। সেখানে অন্ত্রে থাকা ব্যাকটেরিয়া রাফিনোজকে গাঁজন করতে শুরু করে, যার ফলে পেট ফাঁপা এবং গ্যাসের সমস্যা হয়।

এখানেই শেষ নয়, ফুলকপিতে গ্লুকোসিনোলেটস নামক সালফারযুক্ত যৌগও থাকে, যা পেটে ভেঙে গিয়ে হাইড্রোজেন সালফাইড তৈরি করে, যা ফুলকপি খাওয়ার পর আপনার অস্বস্তিকর দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাসের কারণ হয়।

  • ​ফুলকপি খাওয়ার সঠিক উপায়

তাজা ফুলকপিতে অন্যান্য ফুলকপির তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি প্রোটিন ও বিভিন্ন ধরণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। তাছাড়া কাঁচা ফুলকপিতে সামগ্রিকভাবে সর্বাধিক পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এটি রান্না করলে ফুলকপিতে থাকা ইন্ডোল নামের উপকারী উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফুলকপি বিভিন্নভাবে খাওয়া যেতে পারে, তবে যাদের হজমের সমস্যা বেশি, তাদের জন্য রান্না করা ফুলকপি খাওয়াই ভালো। এ ছাড়াও, হজমের উন্নতির জন্য পরিমিত পরিমাণে ফুলকপি খাওয়ার চেষ্টা করুন। পাশাপাশি অতিরিক্ত সিদ্ধ না করে ভাপ দিয়ে বা অল্প তেলে রান্না করলে পুষ্টিগুণও বজায় থাকে।

ওজন কমাতে মানতে হবে সহজ যেসব নিয়ম

0

ওজন কমানোর কথা ভাবলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে কঠিন ডায়েট চার্ট, ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিমে ঘামঝরানো কিংবা পছন্দের খাবার ত্যাগের এক বিভীষিকাময় ছবি।

কিন্তু পুষ্টিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনযাত্রায় খুব সামান্য কিছু পরিবর্তন আনলে কোনো ক্র্যাশ ডায়েট বা জিম ছাড়াই ১০ থেকে ২০ কেজি ওজন কমানো সম্ভব। স্থূলতা কেবল শরীরের বাহ্যিক সৌন্দর্য নষ্ট করে না, বরং এটি মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে; যার ফলে হতাশা ও আত্মবিশ্বাসের অভাবের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তাই সময় থাকতেই সচেতন হওয়া জরুরি। ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে জটিল না ভেবে নিজের ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে ঘরোয়া উপায়েই সুস্থ থাকা যায়।

প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততায় যারা ব্যায়ামের সময় পান না, তাদের জন্য খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনাই ওজন কমানোর প্রধান হাতিয়ার হতে পারে। তবে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন মানেই কেবল সেদ্ধ সবজি খাওয়া নয়, বরং প্রতিদিনের স্বাভাবিক খাবারের মাধ্যমেই ক্যালোরির হিসাব বুঝে রোগা হওয়া সম্ভব।

এই যাত্রায় প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বুঝতে হবে ক্যালোরি, প্রোটিন, ফাইবার ও ফ্যাটের সমীকরণ। নিজের শরীর অনুযায়ী কোন উপাদানটি ওজন বাড়াচ্ছে আর কোনটি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করছে, সেটি শনাক্ত করতে হবে।

এক্ষেত্রে জাঙ্ক ফুড, অতিরিক্ত চিনি, লবণ এবং প্রসেসড খাবার একেবারেই বাদ দেওয়া বাধ্যতামূলক।

সাধারণ সাদা চালের ভাত বা ময়দার পরিবর্তে ব্রাউন রাইস, কিনোয়া কিংবা মাল্টিগ্রেন আটার মতো বিকল্পগুলো খাদ্যতালিকায় যোগ করলে শরীর যেমন কার্বোহাইড্রেট কম পাবে, তেমনি দীর্ঘক্ষণ পেটও ভরা থাকবে। দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হলো সকালের নাস্তা বা জলখাবার, যা কোনোভাবেই এড়িয়ে যাওয়া চলবে না।

প্যাকেটজাত স্ন্যাকসের বদলে ঘরে ভাজা মাখানা, ছোলা, বাদাম বা ওটস খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে এবং পাউরুটি এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। বর্তমান সময়ে ওজন কমানোর অত্যন্ত জনপ্রিয় ও কার্যকরী পদ্ধতি হলো ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং।

তবে এটি শুরু করতে হবে ধীরে ধীরে এবং শরীরের সামর্থ্য বুঝে। ৬ ঘণ্টা থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে তা ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যেতে পারে, যদিও ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া একান্ত জরুরি।

ওজন কমানোর মূল মন্ত্রটি হলো ‘ক্যালোরি ডেফিসিট’ অর্থাৎ সারাদিনে যতটা ক্যালোরি খরচ হচ্ছে, তার তুলনায় ক্যালোরি গ্রহণ যেন কম থাকে। খাবারে পর্যাপ্ত ফাইবার ও প্রোটিন থাকলে বারবার খাওয়ার প্রবণতা বা ক্রেভিংস কমে যায়। তাড়াহুড়ো না করে এই সাধারণ নিয়মগুলো টানা এক থেকে দেড় মাস মেনে চললেই ওজনে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনা সম্ভব।

 

ঘন কুয়াশার কারনে ঢাকার আকাশ ঘুরে কলকাতায় গেল ৫ ফ্লাইট

0

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) মধ্যরাত ১টা থেকে ভোর ৬টার মধ্যে এসব ফ্লাইট কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণকরে।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, রাত ১টা থেকে ফ্লাইট চলাচল ব্যাহত হয়। এ সময় কুয়েত থেকে ঢাকাগামী কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট, জাজিরা এয়ারওয়েজের দুইটি ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট ঢাকায় নামতে না পেরে কলকাতায় চলে যায়। এছাড়া, রাত সাড়ে ৩টার দিকে দাম্মাম থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটিও অবতরণে ব্যর্থ হয়ে চলে যায় কলকাতা।

একই কারণে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের দুবাই থেকে ঢাকাগামী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কুয়ালালামপুর, গুয়াঞ্জু, এয়ার অ্যারাবিয়ার শারজাহ এবং সালাম এয়ারের মাস্কাট থেকে আগত ফ্লাইটগুলো নির্ধারিত সময়ের ২ ঘণ্টা থেকে ৪ ঘণ্টা বিলম্বে অবতরণ করেছে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সারাদেশের সম্ভাব্য পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা সৃষ্টি হতে পারে, যা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এতে সড়ক যোগাযোগের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। একইসঙ্গে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে অনেক এলাকায় দৃশ্যমানতা কমে যেতে পারে এবং শীতের অনুভূতিও বাড়তে পারে।

 

যুক্তরাষ্ট্রের নাইজেরিয়ায় ‘শক্তিশালী’ হামলা

0

ক্রিসমাসের দিন রাতে ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে নিজেই এই তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রেরপ্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানান, এই হামলা তার সরাসরি নির্দেশে পরিচালিত হয়েছে। খবর আল জাজিরার।

ট্রাম্পের দাবি, ওই অঞ্চলে আইএস যোদ্ধারা হামলা চালিয়ে নিরপরাধ খ্রিস্টানদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, ‘খ্রিস্টানদের হত্যাকাণ্ড বন্ধ না হলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে- আগেই এমন সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। আজ রাতে সেই সতর্কতার বাস্তব রূপ দেখা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আফ্রিকা কমান্ড জানিয়েছে, ট্রাম্পের নির্দেশ ও নাইজেরিয়া কর্তৃপক্ষের অনুরোধে অঞ্চলটিতে অভিযান চালিয়েছে ওয়াশিংটন। হামলায় এখন পর্যন্ত প্রাণহানি সংক্রান্ত তথ্য না পাওয়া গেলেও ধারণা করা হচ্ছে, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

খ্রিস্টানদের ওপর নীপিড়নের অভিযোগ তুলে সপ্তাহখানেক আগেই নাইজেরিয়ায় সামরিক হামলার প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে নাইজেরিয়ার বহু অঞ্চলে শক্ত ঘাঁটি ধরে রেখেছে আইএস, বোকো হারামের মতো উগ্র ইসলামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো।

 

কারাবন্দিরা ভোট দিতে পারবেন যেভাবে 

0

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এ নির্দেশিকা কারা মহাপরিদর্শকেরকাছে পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা অনুযায়ী ‘ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোটিং’ (আইসিপিভি) পদ্ধতির মাধ্যমে জেলখানা বা আইনি হেফাজতে আটক থাকা ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

ইসির নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জেলখানা বা আইনি হেফাজতে আটক ভোটারের তালিকাভুক্তি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনুমোদন হবে। এ ধরনের ভোটারদের নিবন্ধনের জন্য একটি বিশেষ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম (https://prisoner.ocv.gov.bd/login) ব্যবহার হবে। জেলখানা বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষ ভোটারদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য দুজন করে প্রতিনিধি মনোনয়ন দেবেন যারা নিবন্ধনের কাজ পরিচালনা করবেন।

এতে বলা হয়, আগ্রহী ভোটারদের নিবন্ধন শেষে জেলখানা বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষ মুদ্রিত তালিকা সিল ও স্বাক্ষরসহ নির্বাচন কমিশনে পাঠাবেন। একইসঙ্গে মনোনীত প্রতিনিধিরা নির্ধারিত পোর্টালে ভোটারদের প্রয়োজনীয় তথ্য (.xls/.csv ফরম্যাট) আপলোড করবেন। নিবন্ধিত ভোটাররা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পোস্টাল ব্যালটের খাম পাবেন। নির্বাচন কমিশন হতে প্রাপ্ত এই খামে থাকবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য দুটি আলাদা ব্যালট পেপার, ভোট প্রদানের নির্দেশাবলি ও একটি ঘোষণাপত্র এবং রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানা সংবলিত একটি ফেরত খাম।

এতে জানানো হয়, জেলখানা বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষ ভোটারদের ভোটদানের জন্য ভোটকক্ষ বা গোপন কক্ষ প্রস্তুত করে ভোটের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করবেন। পোস্টাল ব্যালট পেপারে কোনো প্রার্থীর নাম থাকবে না, শুধু বরাদ্দকৃত প্রতীক ও প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘর থাকবে। এ কারণে কর্তৃপক্ষ ভোটারদের কাছে নিজ নিজ সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের নাম ও প্রতীক-সংবলিত চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা সরবরাহ করবে।

সংসদ নির্বাচনের পোস্টাল ব্যালট পেপারে ভোটাররা মুদ্রিত প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘরে টিক (√) চিহ্ন বা ক্রস (x) চিহ্ন দিয়ে ভোটদান করবেন। একইভাবে গণভোটের পোস্টাল ব্যালট পেপারে হ্যাঁ/না-এর পাশে ফাঁকা ঘরে টিক (√) চিহ্ন বা ক্রস (x) চিহ্ন দিয়ে ভোটদান করবেন। ভোট দেওয়ার আগে ঘোষণাপত্রে নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র লিখে স্বাক্ষর করতে হবে। যদি কোনো ভোটার স্বাক্ষর করতে অক্ষম হন, তবে অন্য একজন ভোটার তা সত্যায়ন করবেন।

ভোটার পোস্টাল ব্যালট পেপারে ভোট দেওয়ার পর ব্যালট পেপার দু’টি ছোট খামে রেখে খামটি বন্ধ করবেন। ব্যালট পেপার-সংবলিত খাম এবং স্বাক্ষরিত ঘোষণাপত্র রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানা মুদ্রিত হলুদ খামে প্রবেশ করার পর খামটি বন্ধ করে তা সংশ্লিষ্ট জেলখানা বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত স্থানে বা বাক্সে জমা দিতে হবে।

ভোটদান প্রক্রিয়া সমাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট জেলখানা বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষ পোস্টাল ব্যালটের সকল খাম সুরক্ষিতভাবে সংরক্ষণ করবেন এবং যতদ্রুত সম্ভব পোস্টাল ব্যালট-সংবলিত সকল খাম নিকটস্থ ডাক বিভাগের কাছে প্রেরণ/হস্তান্তর করবেন। ডাক বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি পোস্টাল ব্যালট-সংবলিত খামগুলো দ্রুততার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানায় পাঠানোর ব্যবস্থা নেবেন। এই খাম পাঠানোর জন্য কোনো ডাক মাশুল প্রদান করতে হবে না। এটি সরকার পরিশোধ করবে।