রোববার (১৭ নভেম্বর) ইসরায়েলি বাহিনী প্রায় একই সময় এসব হামলা করে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান উত্তরাঞ্চলীয় শহর বেইত লাহিয়া এবং মধ্য গাজার নুসিরাত ও বুরেজের শরণার্থী শিবিরে বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন ও বাড়ি লক্ষ্য করে। এতে অন্তত পাঁচটি বহুতল ভবন ধসে বাসিন্দারা চাপা পড়েছেন।
এক বিবৃতিতে গাজার মিডিয়া অফিস বলেছে, বেইত লাহিয়ায় হামলায় ৭২ জনেরও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছেন। একই সময় মধ্য গাজায় ২৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৬০ জন আহত হয়েছেন। উভয় ঘটনায় নিহতের শঙ্কা বাড়তে পারে।
আরও বলা হয়েছে, দখলকারী সেনাবাহিনী জানত যে- কয়েক ডজন বাস্তুচ্যুত বেসামরিক লোক এই ভবনগুলোর ভেতরে ছিলেন। তাদের বেশিরভাগই ছিল শিশু ও নারী। এসব মানুষ আশেপাশের এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৩ হাজার ৮৪৬ জন নিহত এবং ১ লাখ ৩ হাজার ৭৪০ জন আহত হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
এদিকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে যেতে সম্মতি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) হামাসের পক্ষ থেকে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
একইসঙ্গে হামাস যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের ক্রমাগত হামলা বন্ধে চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানায়।
এদিকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাসের এমন সিদ্ধান্তের আগেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয় বন্ধ করেছে। গত সপ্তাহে ইসরায়েল ও হামাসকে আলোচনায় গুরুত্ব দেখানোর আহ্বান জানিয়ে দেশটিতে হামাসের কার্যক্রম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
সংবাদ সংস্থা এএফপিকে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য বাসেম নাইম বলেন, তাদের প্রস্তাব মেনে নেওয়া হলে হামাস গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর জন্য প্রস্তুত।