স্বশাসিত তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির জেরে কয়েকটি মার্কিন অস্ত্র বিক্রেতা কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে চীন। তবে কোন কোন মার্কিন কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে চীন, তা জানায়নি বেইজিং।
তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে আসছে চীন। এই অঞ্চলকে নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করতে প্রয়োজনে শক্তিপ্রয়োগ করতেও আপত্তি নেই তাদের। তবে তাইওয়ানের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। অস্ত্র বিক্রি থেকে শুরু করে সামরিক প্রশিক্ষণ, কোনো কিছুই বাদ দিচ্ছে না ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান, আব্রামস ট্যাংক ও বিভিন্ন পাল্লার মিসাইল পাওয়ার কথা রয়েছে তাইওয়ানের। বছরের পর বছর তাইওয়ানকে যুক্তরাষ্ট্রের এমন সমর্থনে ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছে বেইজিং। তাইওয়ান শুধু যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অস্ত্রই কিনছে না, নিজেদের অস্ত্র শিল্পকেও পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। দেশটির পুরুষদের জন্য মিলিটারি সার্ভিস এক বছরের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাইওয়ানকে সহযোগিতা না করতে চীন মার্কিন কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানালেও তাতে কান দেয়নি তারা।
বলা হচ্ছে, চীনকে চাপে রাখতে তাইওয়ান ইস্যু সজাগ রাখতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য তাইওয়ানকে সামরিকভাবে শক্তিশালী করা প্রয়োজন। তাইতো সব আশঙ্কা পেছনে রেখে অঞ্চলটির কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র বিক্রির কাজটি করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।