বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫
20 C
Dhaka
Homeজাতীয়জরিমানা মওকুফের প্রস্তাব দিয়ে আদানির নতুন ‘চাপ’

জরিমানা মওকুফের প্রস্তাব দিয়ে আদানির নতুন ‘চাপ’

আপডেট: জানুয়ারি ২০, ২০২৫ ১:৪০
প্রকাশ: জানুয়ারি ২০, ২০২৫ ১:৩৭

বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া পরিশোধ করলে জরিমানা মওকুফের প্রস্তাব দিয়েছে ভারতীয় কোম্পানি আদানি পাওয়ার লিমিটেড (এপিজেএল)। জরিমানা এড়াতে চাইলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (পিডিবি) আগামী জুনের মধ্যে এই বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বকেয়ার পরিমাণ ৮৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বৃহস্পতিবার পিডিবি চেয়ারম্যানকে এ চিঠি পাঠিয়েছেন জয়েন্ট কো-অর্ডিশন কমিটির প্রেসিডেন্ট এবং আদানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এম আর কৃষ্ণ রাও।

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পিডিবির কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি। তবে এক কর্মকর্তা জানান, দিন দিন আদানির বকেয়া বাড়ছে। সরকার থেকে ভতুর্কির টাকা না পাওয়া এবং ডলার সংকটের কারণে বকেয়া বেড়েছে। বিল বকেয়া হয়ে যাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) ও বাস্তবায়ন চুক্তি (আইএ) অনুযায়ী বিলম্বের কারণে দুই শতাংশ হারে জরিমানা দেওয়ার বিধান রয়েছে। তবে পিডিবির আরেক কর্মকর্তা বলেছেন, জুনের মধ্যে বকেয়া টাকা পরিশোধ করলে বাংলাদেশ ৫০ মিলিয়ন ডলার ছাড় পাবে।

পিডিবির চেয়ারম্যানকে এম আর কৃষ্ণ রাওয়ের দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে পিডিবি মাসিক বিল পরিশোধ করলে এবং তার সঙ্গে বকেয়া বিলগুলো পরিশোধ করে দিলে বিলম্বে বিল প্রদানের জরিমানা আরোপ করা হবে না। বকেয়া বিল না পাওয়ার কারণে জ্বালানি কেনায় সমস্যা হচ্ছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে ২০২৪ সালের ২৮ অক্টোবর বিল বকেয়া থাকার কারণে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে সরবরাহ বন্ধ করে দেয় আদানি কর্তৃপক্ষ। ভারতের ঝাড়খন্ডের গড্ডায় ১৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছিল আদানি পাওয়ার। গত আগস্টের শুরুতে তারা ১৪০০-১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বকেয়ার অর্থ উদ্ধারে গত ৩১ অক্টোবর একটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে দেয় তারা। ফলে নভেম্বরে তারা ৭০০ থেকে ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছিল। পরে গত সপ্তাহ থেকে আদানির বকেয়া বিল খণ্ডিতভাবে পরিশোধ শুরু করেছে পিডিবি। চুক্তি অনুযায়ী, অক্টোবরে আদানিকে ৯০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু আগের মাসগুলোয় যেখানে প্রতিমাসে বিল বাবদ ৯০ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার করে দেওয়ার চুক্তি রয়েছে, সেখানে মাত্র ২০ থেকে ৫০ মিলিয়ন ডলার করে দেওয়া হয়েছে। আদানির কাছ থেকে বাংলাদেশ প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কেনে ১০ থেকে ১২ টাকায়। ইন্দোনেশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে কয়লা কেনার দামও এর সঙ্গে সম্পর্কিত। এই দর ভারতের অন্যান্য বেসরকারি উৎপাদকের দরের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি এবং ভারতীয় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কেন্দ্রগুলোর তুলনায় ৬৩ শতাংশ বেশি।

এদিকে পিজিসিবির ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চিত্র থেকে জানা গেছে, গতকাল বিকেল ৫টায় আদানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে ৫১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যাওয়ায় এখন কম সরবরাহ করছে আদানি।

আরও পড়ুন
spot_img

জনপ্রিয় খবর