সাধারণত ২০০ এমজি বা তার বেশি কোলেস্টেরল মাত্রাকে উচ্চ কোলেস্টেরল ধরা হয়। যদিও রক্ত পরীক্ষাই এর সঠিক নির্ণয়ের একমাত্র উপায়, তবে কিছু বাহ্যিক লক্ষণও ইঙ্গিত দিতে পারে কোলেস্টেরল অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে যাওয়ার। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে ওঠে আসে এসব তথ্য।
এবার জেনে নিন—কীভাবে বুঝবেন শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ছে।
চোখের পাতার চারপাশে হলদেটে প্যাচ বা ফোলাভাব
চোখের চারপাশে যদি ছোট ছোট হলদেটে দাগ বা সামান্য ফোলাভাব দেখা যায়, তবে সেটি হতে পারে রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ। এগুলো সাধারণত ব্যথাহীন হলেও রক্তে অতিরিক্ত চর্বি জমে যাওয়ার লক্ষণ হতে পারে।
যেসব লক্ষণে বুঝবেন শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে
সপ্তাহে ১৫০ মিনিটের এ অভ্যাস কমিয়ে দেবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি
কর্নিয়ার চারপাশে ধূসর বা সাদা রিং
চোখের কর্নিয়ার চারপাশে সাদা বা ধূসর রঙের একটি বৃত্ত দেখা গেলে তা হতে পারে, যা কর্নিয়াল আর্কাস নামে পরিচিত। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি অনেক সময় স্বাভাবিকভাবে দেখা দিতে পারে। যদি এটি ৪৫ বছরের কম বয়সেই দেখা দেয়, তবে তা রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনার একটি ইঙ্গিত হতে পারে।
ত্বকে হলদেটে দানা বা ফুঁসকুড়ির মতো
চোখ, গাল, কনুই কিংবা হাঁটুর আশপাশে যদি হলুদাভ ছোট ছোট দানার মতো ফুঁসকুড়ি দেখা যায়, তাহলে তা হতে পারে জ্যান্থোমা। সাধারণত এগুলো ব্যথাহীন হলেও, শরীরে কোলেস্টেরল বা লিপিডের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে এমন লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
ত্বকে হলদেটে ছোপ বা রঙ পরিবর্তন
মুখের ত্বকে, বিশেষ করে চোখের আশপাশে যদি হলদেটে ছোপ বা দাগ দেখা যায়, তাহলে তা হতে পারে জ্যান্থোডার্মা। এটি সাধারণত তখনই দেখা দেয়, যখন রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গিয়ে ত্বকের নিচে চর্বিযুক্ত পদার্থ জমতে শুরু করে।
ত্বকে নীলচে বা বেগুনি রঙের জালাকৃতি দাগ
কোলেস্টেরলের খণ্ড রক্তনালিতে আটকে গেলে শরীরের ত্বকে নীল বা বেগুনি রঙের জালের মতো দাগ দেখা যেতে পারে। এই লক্ষণকে কোলেস্টেরল এমবোলিজম বলা হয়। যা রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ার স্পষ্ট ইঙ্গিত। এমন উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।
হঠাৎ করে ছোট ছোট গুটি বা ফুসকুড়ির মতো গুচ্ছ
যদি হঠাৎ করে মুখ, বাহু বা নিতম্বের ত্বকে ছোট ছোট লাল বা হলুদ গুটির মতো দানা গুচ্ছ আকারে দেখা যায়, তবে তা হতে পারে বিস্ফোরিত জ্যান্থোমা। এটি তখনই দেখা দেয় যখন রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যায়। এমন উপসর্গকে হালকাভাবে না নিয়ে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।
পরামর্শ
এই উপসর্গগুলোর কোনোটি যদি আপনার শরীরে দেখা দেয়, তাহলে সময় নষ্ট না করে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করিয়ে নিন। একইসঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে না থাকলে তা হৃদরোগসহ অন্যান্য জটিল রোগের ঝুঁকি অনেক গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।