ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে আরও একটু স্বাস্থ্যকর বানিয়ে নিতে পারেন কিছু পানীয় খেয়ে। রোজের খাবারের সঙ্গে প্রতি দিন এক একটি পানীয় খেলে, তা যেমন ওজন কমাতে সাহায্য করবে, তেমনই মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস জুগিয়ে ত্বকের জেল্লাও নষ্ট হতে দেবে না।
আগে ওজন কমানোর জন্য নানা রকমের চেষ্টাচরিত্র শুরু করেছেন নিশ্চয়ই। কেউ দুপুরে এবং রাতে ভাত খাওয়ার পরিমাণ কমিয়েছেন, তো কেউ রাশ টেনেছেন মিষ্টি আর ভাজাভুজিতে। কেউ কেউ এক ধাপ এগিয়ে শরীরচর্চাও শুরু করেছেন। এক মাসে ওজন কমাতে নিয়েছেন জিমের সদস্যপদ। আপনি যদি এই তালিকাভুক্ত হন, তবে ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে আরও একটু স্বাস্থ্যকর বানিয়ে নিতে পারেন কিছু পানীয় খেয়ে। রোজের খাবারের সঙ্গে প্রতি দিন এক একটি পানীয় খেলে, তা যেমন ওজন কমাতে সাহায্য করবে, তেমনই মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস জুগিয়ে ত্বকের জেল্লাও নষ্ট হতে দেবে না।
লেবু এবং আদা দিয়ে জল:
লেবু এবং আদা দিয়ে, লেবুর পানি হজমে সহায়ক। শরীর থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতেও সাহায্য করে। অন্য দিকে, আদা বিপাকের হার বৃদ্ধি করতে পারে। যা ওজন কমানোর জন্য জরুরি।
গ্রিন টি : অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ , গ্রিন টি মেদ ঝরাতে এবং বিপাক ক্রিয়ার হার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।
দারচিনির জল:
দারচিনি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে এবং শরীরে ইনস্যুলিন প্রতিরোধ তৈরি হতে দেয় না। ফলে শর্করা ভাঙার প্রক্রিয়া বজায় থাকে। শরীরে ফ্যাট জমে না।
মৌরির জল:
মৌরি হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পেটের সমস্যাও কমাতে সাহায্য করতে পারে। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে জরুরি।
ডাবের জল:
কম ক্যালোরি এবং ইলেক্ট্রোলাইটের ভাল উৎস হল ডাবের জল। যে কোনও চিনি দেওয়া পানীয় খাওয়ার ইচ্ছে হলে, তার স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসাবে ডাবের জল খাওয়া যেতে পারে।
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার: অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার যে ওজন কমাতে সাহায্য করে তা মানেন পুষ্টিবিদেরাও। রোজ সকালে এক কাপ জলের সঙ্গে এক টেবিল চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি খিদে নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।