শীত এসেছে। দেশের কোটি মানুষ এ সময় বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা ও রোগে ভোগেন। ত্বক বা চামড়া মানব দেহের সর্ববৃহৎ অঙ্গ। সুতরাং এর সমস্যা ও রোগও বেশি। আজ আমরা আলোচনা করব শীতকালে কী কী ধরনের চর্ম সমস্যা ও রোগ হয় এবং এগুলো থেকে কীভাবে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।

শীতে সাধারণত যেসব সমস্যা হয়ে থাকে
ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া; কোনো কারণ ছাড়াই চুলকানো; ঠোঁট-পা শুষ্ক হয়ে ফেটে যাওয়া এবং ইনফেকশন হওয়া; খুশকি বেশি হওয়া। এ ছাড়া কিছু চর্মরোগ বেশি মাত্রায় দেখা দেয়, যেমন স্ক্যাবিস, এলার্জি ইত্যাদি। পুরোনো জামা-কাপড়, উলের পোশাক, বিভিন্ন ক্রিম, লোশন, পমেড ইত্যাদি ব্যবহারে চুলকানিও ত্বকের প্রদাহ হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন ক্রনিক ডিজিজ যেমন—ডায়াবেটিস, ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, থাইরয়েডের রোগে বেশি মাত্রায় ত্বক শুষ্ক হওয়া ও চুলকানি হয়।
শীতে ত্বকের সমস্যাগুলো থেকে পরিত্রাণের উপায়
সাধারণ কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে শীতে ত্বকের সুরক্ষা সম্ভব। বিশেষ করে যারা বিভিন্ন এলার্জি এবং ক্রনিক ডিজিজ যেমন ডায়াবেটিস, ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, থাইরয়েডের রোগে ভুগছেন তাদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে এবং ত্বকের যত্ন নিতে হবে। এ ছাড়া অতিরিক্ত শীতে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়া, বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়া, ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা, অলিভ অয়েল, নারকেল তেল, ভেসলিন, গ্লিসারিন ইত্যাদি ব্যবহার করা। পুরোনো ও উলেন কাপড় ব্যবহারের আগে ধুয়ে নেওয়া এবং যাদের উলের কাপড়ে এলার্জি আছে, তাদের ভেতরে সুতির কাপড় পরিধান করতে হবে।
খুশকির জন্য Ketoconazole, Zinc Pyrithione, Ciclopirox যুক্ত শ্যাম্পু সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করতে হবে। স্কাবিস হলে একই কাপড়-চোপড়, চাদর, গামছা, তোয়ালে, লেপ, কম্বল ইত্যাদি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরিবারের সব সদস্যের চিকিৎসা নিতে হবে। ঠোঁট ও পায়ের চামড়া শুষ্ক হয়ে ফেটে গেলে, ব্যথা ও ইনফেকশন হলে বিশেষ করে ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীদের দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যাদের সাধারণ নিয়মকানুন মানার পর ত্বকের সমস্যা যাচ্ছে না, তারা উচিত দ্রুত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। মনে রাখতে হবে—সুস্থ জীবন, সুন্দর পৃথিবী।


