রবিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৫
রবিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৫
27 C
Dhaka
Homeআইন আদালত১৩ সেনা কর্মকর্তাকে আনা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে, র‍্যাব-বিজিবির কড়া নিরাপত্তা

১৩ সেনা কর্মকর্তাকে আনা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে, র‍্যাব-বিজিবির কড়া নিরাপত্তা

প্রকাশ: নভেম্বর ২৩, ২০২৫ ১:৫২

গুম-খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক মামলায় ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

কঠোর নিরাপত্তায় রোববার (২৩ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ জেলের প্রিজন ভ্যানে করে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বিশেষ কারাগার থেকে তাদের ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়।

ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেল এ বিষয়ে শুনানি ও আদেশ দেবেন। প্যানেলের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

গুম-খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক মামলায় ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তাদের বিষয়ে শুনানির জন্য আজ রোববার (২৩ নভেম্বর) দিন ধার্য রয়েছে। নির্ধারিত তারিখে যেসব আসামি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন, তাদের আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

র‌্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলের গোপন স্থানে আটক রেখে নির্যাতনের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়। পাশাপাশি জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল (জেআইসি) বা আয়নাঘরে গুমের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেকটি মামলায় ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে, যেখানে শেখ হাসিনার নামও রয়েছে।

এর আগে গুম-খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক মামলায় ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তাদের বিষয়ে পরবর্তী শুনানির তারিখ হিসেবে ২৩ নভেম্বর নির্ধারণ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গত ২৬ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন।

এদিকে, সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই বাড়ানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা। ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ ঘিরে নিরাপত্তায় রয়েছেন পুলিশ, বিজিবি-র্যাব সদস্যরা। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন দায়িত্বরতরা।

গত ৮ অক্টোবর পৃথক দুই মামলায় মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। অভিযোগ আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। র‌্যাবের টিএফআই সেলের গোপন সেলে আটক রেখে নির্যাতনের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।

অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক ডিজি এম খুরশিদ হোসেন, সাবেক ডিজি ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, র্যাব কর্মকর্তা কেএম আজাদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, মাহবুব আলম, আবদুল্লাহ আল মোমেন, সারোয়ার বিন কাশেম, খায়রুল ইসলাম, মশিউর রহমান জুয়েল ও সাইফুল ইসলাম সুমন। এদের মধ্যে ১০ সেনা কর্মকর্তা গ্রেপ্তার আছেন।

এ ছাড়া জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল (জেআইসি) বা আয়নাঘরে গুমের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেক মামলায় ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায়ও শেখ হাসিনা ও তারিক আহমেদ সিদ্দিকের নাম রয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন- ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি লে. জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) সাইফুল আবেদিন, লে. জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লে. জেনারেল তাবরেজ শামস চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক, মেজর জেনারেল তৌহিদুল ইসলাম, মেজর জেনারেল সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবির আহাম্মদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী ও লে. কর্নেল (অব.) মখসুরুল হক। এ মামলায় তিনজন কারাগারে থাকলেও বাকিরা পলাতক।

আরও পড়ুন
spot_img

জনপ্রিয় খবর