মারাত্মক আহত অবস্থায় তিনি রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার দাড়িয়াপুর ইটখলার মোড়-সংলগ্ন কৃত্রিম চৌবাচ্চায় মাচা তৈরি করে আগুন পোহাতে পোহাতে গোসল করার ভিডিও ধারণ করছিলেন তিনি। এ জন্য চৌবাচ্চায় পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়েছিলেন। পেট্রোলের পরিমাণ বেশি হওয়ায় বড় শিখা তৈরি করে আগুন, সেই আঁচে দগ্ধ হন তিনি।
আল আমিনের সহকর্মী আজাদ হোসেন জনি বলেন, আল আমিন এখন কিছুটা ভালো। তিনি সাড়া দিচ্ছেন। তার পাশে সার্বক্ষণিক একজন থাকছেন। বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসা ও আন্তরিকতায় তার পরিবার মুগ্ধ।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আল আমিনের শরীরের ২৮-৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। শুরুতে তার শারীরিক অবস্থা মারাত্মক পর্যায়ের ছিল। আস্তে আস্তে অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। বারডেম হাসপাতালে তিনি চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। শরীর দগ্ধের পরিমাণ বেশি হওয়ায় সুস্থ হতে অনেক সময় লাগবে। চিকিৎসক সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন তাকে সুস্থ করা তোলার জন্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বারডেমের এক চিকিৎসক বলেন, আগুনের তীব্রতা বেশি থাকায় শরীর বেশি পুড়ে গেছে। তার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। এখন আশঙ্কামুক্ত। তবে হাসপাতালে থাকতে হবে। তার শারীরিক যত্নের কোনো কমতি রাখা হচ্ছে না।
সামাজিকমাধ্যমের জন্য রসাত্মক সব কনটেন্ট বানিয়ে পরিচিতি পেয়েছিলেন ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার আল-আমিন। শীতের শুরুতেই আগুন নিয়ে কনটেন্ট বানাতে গিয়ে দগ্ধ হলেন তিনি।


