সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ১১টার দিকে এ কম্পন অনুভূত হয়। এর পরপরই দেশটির কর্তৃপক্ষ সুনামি সতর্কতা জারি করেছে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় আওমোরি ও হোক্কাইডোর সমুদ্র উপকূলের বাইরে। এছাড়া এর গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০ কিলোমিটার গভীরে।
সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, জাপানের উত্তর-পূর্ব উপকূলীয় এলাকায় সর্বোচ্চ তিন মিটার (প্রায় ১০ ফুট) উচ্চতার সুনামি আছড়ে পড়তে পারে।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী সুনামির প্রথম ঢেউ রাত ১১টা ৪০ মিনিটে আওমোরি থেকে ইওয়াতে পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলীয় বন্দর এলাকাগুলোতে পৌঁছাতে পারে।
প্যাসিফিক সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, হোক্কাইদো উপকূলে ভূমিকম্পের ফলে উৎপন্ন বিপজ্জনক সুনামি ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে এক হাজার কিলোমিটার (প্রায় ৬২০ মাইল) ব্যাসার্ধের মধ্যে জাপান ও রাশিয়ার উপকূলীয় এলাকাগুলোতে এসব ঢেউ আঘাত হানতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
ইস্ট জাপান রেলওয়ে জানিয়েছে, পরিস্থিতির কারণে অঞ্চলটির কিছু ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রভাবিত এলাকাগুলোর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের সমস্যা দেখা যায়নি।
ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে আহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, জাপান বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। দেশটি ভূকম্পন সক্রিয় ‘রিং অব ফায়ার’-এর ওপর অবস্থিত। বিশ্বে ৬ মাত্রা বা তার বেশি শক্তিশালী ভূমিকম্পের প্রায় ২০ শতাংশই ঘটে জাপানে।
২০১১ সালের মার্চে দেশটি ৯.০ মাত্রার বিধ্বংসী ভূমিকম্প ও সুনামির কবলে পড়ে, যাতে ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।


