সকাল সাতটায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলার কথা, তবে সাধারণত ভোট গ্রহণ শেষ হতে হতে অনেকটাই রাত হয়ে যায়। এবারও সে রকম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মোট ১৭ কোটি ৭০ লাখ ভোটারের মধ্যে এই পর্যায়ে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৮ কোটি ৯৭ লাখ এবং নারী ভোটার ৮ কোটি ৭৩ লাখ। মোট ৭ পর্যায়ের ভোট গ্রহণ শেষ হবে ১ জুন; গণনা ও ফল প্রকাশ করা হবে ৪ জুন।
আজ ভোট গ্রহণ হবে অন্ধ্র প্রদেশের ২৫টি, বিহারের ৫টি, জম্মু-কাশ্মীরের ১টি, ঝাড়খন্ড ও ওডিশার প্রতিটিতে ৪টি করে, মধ্যপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের ৮টি করে আসনে। এ ছাড়া তেলেঙ্গানার ১৭, মহারাষ্ট্রের ১১ এবং উত্তর প্রদেশের ১৩ আসনে ভোট গ্রহণ হবে।
এই পর্যায়ে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের ১৭৫ আসন এবং পূর্ব ভারতের ওডিশা রাজ্যের ২৮ বিধানসভা আসনেও ভোট গ্রহণ হবে।
পশ্চিমবঙ্গে যেসব আসনে ভোট হচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর, যেখানে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী কৃষ্ণনগরের রাজপরিবারের সদস্য অমৃতা রায়। সিপিআইএম দলের তরফে দাঁড়িয়েছেন এলাকার পুরোনো প্রভাবশালী নেতা এস এম সাদি। এ আসনে মহুয়া না জিতলে সেটা তৃণমূলের জন্য রীতিমতো অবিশ্বাস্য খবর হবে। তবে অমৃতা ও সাদি—দুজনই যথেষ্ট পরিশ্রম করছেন বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গে ভোট হচ্ছে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর, নদীয়ারই রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান–দুর্গাপুর, আসানসোল, বোলপুর এবং বীরভূমে।
এর মধ্যে যে আসনগুলোতে তারকা প্রার্থী রয়েছেন, সেগুলো হলো বহরমপুরে কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। যিনি এর আগে পাঁচবার ওই আসন থেকে লোকসভায় গেছেন। তবে উল্টো দিকে তৃণমূলের যে প্রার্থী, তিনি তারকা হলেও বাইরের লোক। ফলে তাঁর জেতা নিয়েও রয়েছে সংশয়। এই প্রার্থী হলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অলরাউন্ডার ইউসুফ পাঠান।
বর্ধমান-দুর্গাপুর আসন থেকে বিজেপির তারকা প্রার্থী সাবেক রাজ্য সভাপতি এবং বর্তমান এমপি দিলীপ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে একজন ক্রিকেটারকে দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, যিনি ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন। তিনি কীর্তি আজাদ। তিনি নামী ক্রিকেটার হলেও যে ওই আসনে দিলীপ ঘোষকে হারাতে পারবেন, এমনটা স্থানীয় তৃণমূল নেতারা মনে করছেন না।