রোববার (২৬ মে) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান কালবেলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে শনিবার (২৫ মে) ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
গত এক মাস ধরে ওই ইটভাটায় কাঁচা ইট তৈরির জন্য এলাকার বিভিন্ন পুকুর থেকে মাটি কেটে এনে ৩টি মাটির স্তূপ করেন। ওই মাটির স্তূপগুলোতে বিভিন্ন ধরনের সোনার মোহর, স্বর্ণের দুল, আংটিসহ বিভিন্ন সোনার তৈরি জিনিস পাওয়া যায়। এতে করে প্রতিদিন হাজার হাজার নারী, পুরুষ স্বর্ণ পাওয়ার আশায় রাত দিন মাটি খনন করতে থাকে। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ দেশের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা ও টেলিভিশনে নিউজ আকারে প্রকাশিত হয়।
এরই প্রেক্ষিতে শনিবার ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। আদেশে বলা হয়েছে, ওই ইট ভাটার মাটির স্তূপ খুঁড়ে সোনা পাওয়া যাচ্ছে মর্মে স্থানীয় লোকজনসহ আশেপাশের অসংখ্য লোকজন বেশ কিছুদিন যাবৎ খুন্তি, কোদাল, বাশিলা ইত্যাদি দিয়ে মাটি খুঁড়া-খুঁড়ি শুরু করে প্রতিদিন ওই স্থানের তিনটি মাটির স্তূপে সোনার সন্ধান করছে। এতে আগ্রাসী লোকজন স্বর্ণ পাওয়ার আশায় ঝগড়া বিবাদ, কলহ ও দ্বন্দ্বে লিপ্ত হচ্ছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মাটি খুঁড়ে স্বর্ণের সন্ধান করতে থাকলে যে কোনো সময় ঘটনাস্থলে মারামারি, খুন, জখমসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। এমতাবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আরবিবি (জইই) ইটভাটা এলাকা ও এর আশেপাশে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
চিঠিতে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, থানার ওসি, বাচোর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, রাণীশংকৈল প্রেসক্লাব (পুরাতন) ও রাণীশংকৈল প্রেসক্লাব বরাবরে সদয় অবগতির জন্য অনুলিপি পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান জনতা মেইলকে জানান, ১৪৪ ধারা জারির পর শনিবার দিনগত রাত ৪টা থেকে সকাল পর্যন্ত ঘটনাস্থলে গিয়ে সকল জনগণকে ওই স্থান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন সেখানে জনমানবশূন্য। পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়াও ইটভাটা কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ওইসব মাটি অপসারণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।