সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আজ সোমবার ১৩ জুনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছে রেলওয়ে। রেলের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের জন্য প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার টিকিট ছাড়া হচ্ছে। সব টিকিটই অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে।
সকাল আটটা থেকে বিক্রি হয় রেলের পশ্চিমাঞ্চলে (রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগ) চলাচলকারী আন্তনগর ট্রেনের টিকিট। আর বেলা দুইটা থেকে বিক্রি হয় রেলের পূর্বাঞ্চলের (ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) ট্রেনের টিকিট।
ঢাকা থেকে ঈদ যাত্রার জন্য আন্তনগর ট্রেনের কোনো টিকিট স্টেশনের কাউন্টারে বিক্রি হচ্ছে না। তবে ঈদযাত্রা শুরু হলে ট্রেন ছাড়ার আগে আগে সাধারণ আসনের ২৫ শতাংশ আসনবিহীন (স্ট্যান্ডিং) টিকিট বিক্রি করা হবে।
গতকাল রোববার থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার ১৪ জুনের ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে। একইভাবে ৫ জুন ১৫ জুনের ও ৬ জুন দেওয়া হবে ১৬ জুনের অগ্রিম টিকিট।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, আজ সকাল আটটা থেকে পরবর্তী ১৫ মিনিটে ১০ হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। প্রথম আধা ঘণ্টায় বিক্রি হয় প্রায় ১২ হাজার টিকিট। বেলা দুইটার মধ্যে পশ্চিমাঞ্চলের জন্য বরাদ্দ সব টিকিট শেষ হয়ে যায়।
বেলা দুইটায় পূর্বাঞ্চলের টিকিট বিক্রি শুরুর পর একইভাবে প্রথম ১৫ মিনিটে বরাদ্দের বেশির ভাগ টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে চারটা পর্যন্ত পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চল মিলে ২৯ হাজার ২৩৩টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। ঢাকা হয়ে ট্রেনের দুই অঞ্চলে প্রতিদিন ১৩২টির মতো আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে।
রেলওয়ে জানিয়েছে, ঈদের ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১০ জুন। ১০ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ২০ থেকে ২৪ জুনের ফিরতি অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। ২০ জুনের অগ্রিম টিকিট দেওয়া হবে ১০ জুন। ২১ জুনের টিকিট দেওয়া হবে ১১ জুন। ২২ জুনের টিকিট দেওয়া হবে ১২ জুন। ২৩ জুনের টিকিট দেওয়া হবে ১৩ জুন। আর ২৪ জুনের টিকিট দেওয়া হবে ১৪ জুন।