সোমবার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী বিত্তয় কুমার সরকার ওরফে কেসব সুমন বাদী হয়ে ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালতের বিচারক মো. মনিরুজ্জামান আবেদন গ্রহণ করে ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রাথমিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আল মাহবুব হোসেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট বেলা ১১টায় জেলা শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের এক বিশাল মিছিল বের হয়। মিছিলটি ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর রোনালস রোডের বাসভবন অতিক্রম করছিল। এমন সময় ওই বাড়ির মধ্য থেকে বের হয়ে আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
ঐ সময় আসামিরা ব্যাপক গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় চআতঙ্কজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। ছাত্র-জনতার ওই দিনের আন্দোলনে অসংখ্য নেতা–কর্মীরা আহত অবস্থায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। আহতরা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে গেলে আসামিরা সেখানেও হামলা চালিয়ে চিকিৎসা গ্রহণে বাধা দেয়।এ মামলায় ৬২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ৫০–৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী বিত্তয় কুমার সরকার ওরফে কেসব সুমন বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের দাবি আদায়ে ৪ আগস্ট সকালে মিছিল বের হয়।সেই মিছিলে আমির হোসেন আমু ও শাহজাহান ওমরের নির্দেশে আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালালে অনেক ছাত্রছাত্রী আহত হয়েছে।সেই ঘটনার সুষ্ঠু ও কঠোর বিচারের দাবিতে আমি এ অভিযোগ দায়ের করেছি ।