স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহে (শনি-শুক্রবার) ডেঙ্গুতে ৩৪ জনের মৃত্যু এবং ছয় হাজার ৭৩৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গত সাত দিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৮ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুতে সাতজনের মৃত্যু এবং ৮৬০ জন হাসপাতালে, ২৯ সেপ্টেম্বর আটজনের মৃত্যু এবং এক হাজার ২২১ জন হাসপাতালে, ৩০ সেপ্টেম্বর পাঁচজনের মৃত্যু এবং এক হাজার ১৫২ জন হাসপাতালে, ১ অক্টোবর তিনজনের মৃত্যু এবং এক হাজার ১৪৪ জন হাসপাতালে, ২ অক্টোবর আটজনের মৃত্যু এবং এক হাজার ১৭ জন হাসপাতালে, ৩ অক্টোবর তিনজনের মৃত্যু এবং এক হাজার ২২ জন হাসপাতালে এবং ৪ অক্টোবর কারও মৃত্যু না হলেও ৩১৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৪ হাজার ৪৩৮ জন। এরমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩০ হাজার ৭৮৮ জন। মারা গেছেন ১৭৭ জন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতি শিগগিরই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আসছে অক্টোবরে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে ডেঙ্গুর প্রকোপ।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।