আজ বেলা আড়াইটায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিএনপিকে দিয়ে এ আলোচনা শুরু হবে।
জানা গেছে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে এ সংলাপে অন্য উপদেষ্টারাও উপস্থিত থাকবেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এটি হবে অন্তর্বর্তী সরকারের তৃতীয় দফা সংলাপ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দিনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ তিনটি রাজনৈতিক দল ও আরও তিনটি পৃথক জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার কথা রয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এ আলোচনায় অংশ নেবেন।
সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে, দেশের নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য সরকার ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে পাঁচটি কমিশন গঠন করেছে। খুব শিগগির সংবিধান সংস্কার কমিশনও গঠন হবে।
মূলত এই সংস্কার কমিশনগুলোকে রাজনৈতিক দলগুলো কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা ও মতামত চাওয়া হবে। এ ছাড়া ৯ সেপ্টেম্বর থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজা, আইনশৃঙ্খলাসহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দিনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ তিনটি রাজনৈতিক দল ও আরও তিনটি পৃথক জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার কথা রয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এ আলোচনায় অংশ নেবেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এ সংলাপের গুরুত্ব হচ্ছে, একটি রক্তক্ষয়ী গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণ স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করেছে—যারা রাষ্ট্রকাঠামো এবং রাষ্ট্রের চরিত্রকেই নষ্ট করে দিয়েছে। এখন ফ্যাসিবাদমুক্ত জনগণের প্রত্যাশা হচ্ছে একটি গণতান্ত্রিক ও নির্বাচিত সংসদ এবং তাদের কাছে দায়বদ্ধ একটি সরকার। এটা নির্বাচনের মাধ্যমেই কেবল সম্ভব। এটা মাথায় রেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো সেরে জনগণের কাছে যাওয়ার বিকল্প নেই।
গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক দলগুলো হলো জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
বিএনপির পর আজ বেলা তিনটায় জামায়াতে ইসলামী, সাড়ে তিনটায় গণতন্ত্র মঞ্চ, বিকেল চারটায় বাম গণতান্ত্রিক জোট, সাড়ে চারটায় হেফাজতে ইসলাম, পাঁচটায় ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে সংলাপ হবে। হিসাবে দেখা যাচ্ছে, প্রথম দিনে আড়াই ঘণ্টায় দেশের উল্লেখযোগ্য প্রায় সব দলের সঙ্গে সংলাপ হবে। গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক দলগুলো হলো জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
বাম গণতান্ত্রিক জোটভুক্ত দলগুলোর মধ্যে রয়েছে সিপিবি, বাসদ খালেকুজ্জামান, বাসদ (মার্ক্সবাদী), গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টি। হেফাজতে ইসলাম একটি ধর্মভিত্তিক অরাজনৈতিক সংগঠন।
জানা গেছে, হেফাজত–সংশ্লিষ্ট দলগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে সংলাপে অংশ নিতে সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিশেষ করে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নেতারা হেফাজতের কমিটিতে আছেন।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও তাদের সঙ্গী ১৪–দলীয় জোটকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হবে না।
জাতীয় পার্টিকে এখনো আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গেছে। দুর্গাপূজার পর আগামী শনিবার আবার সংলাপে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা। গণ অধিকার পরিষদ ও আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) সঙ্গে পরের শনিবার সংলাপ হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।