শনিবার (২৬ অক্টোবর) রংপুর মহানগর পুলিশের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আইজিপি ময়নুল ইসলাম বলেন, একটা বেআইনি চর্চা শুরু হয়েছিল যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন ছাত্রলীগ হিসেবে মাস্তানি করবে। হল দখল, চাঁদাবাজিসহ সব ধরনের অন্যায়-অপকর্ম করবে। এক পর্যায়ে ওরাই বিসিএস দিয়ে পুলিশ, প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে আসবে। তাদের অনেক ক্ষমতা। তাদের একদিকে রাজনীতির ক্ষমতা, অন্যদিকে পুলিশ, প্রশাসনের ক্ষমতা। এই চর্চা বা ব্যবস্থাপনার সংস্কার করা না হলে যে সংস্কার শুরু হয়েছে তাতে ভালো প্রশাসন পাওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, কতিপয় বিপথগামী পুলিশ সদস্য জড়িত ছিল তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন মামলার আসামি ২১ পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জুলাই বিপ্লবের মামলাগুলোকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া কোনো মামলা থাকবে না। এ মামলাগুলোর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আইজিপি বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছরে বৈধভাবে অস্ত্র নিয়ে অবৈধভাবে ব্যবহার করেছে ফ্যাসিস্ট শক্তি। সে অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে নিরীহ জনগণের বিরুদ্ধে। নতুন করে অস্ত্র নীতিমালা তৈরি হচ্ছে, যাতে কেউ জনগণের জান-মাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে। পুলিশকে তার পুরোনো ইমেজ ফিরিয়ে আনতে এবং চলমান সংকট কাটাতে সবার সহযোগিতা চাই।
এর আগে সকালে পীরগঞ্জের বাবনপুরে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত শেষে তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক ময়নুল ইসলাম। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলমসহ পুলিশ এবং প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।