গ্রেপ্তার করা সাবেক মন্ত্রী ও নেতাদের ওপর আদালত চত্বরে হামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল এ কথাগুলো বলেন। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিলের পর এ বিষয়ে আজ বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, আদালতে যাওয়ার সময়ে কখনো কাউকে আক্রমণ করা উচিত নয়, কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।’
এ সময় আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে নির্মমভাবে আদালতে রক্তাক্ত করা হয়েছিল। তখন কি এই প্রশ্ন করেছিলেন, টিভিতে কি এই নিউজ দেখাতে পেরেছিলেন? তিনি বলেন, একটি দল (আওয়ামী লীগ) ও মন্ত্রিসভার সঙ্গে থাকা লোকদের জনগণের শত্রুর পর্যায়ে নিয়ে আসা, এটা তো সাবেক সরকারের দায়ভার। তারা মন্ত্রিসভার সদস্য ও সমর্থকদের এমন জায়গায় নিয়ে গেছে যে একটি জনরোষ তৈরি হয়েছে। সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের ওপর জনরোষ ছিল না। সেটি ছিল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। আরও অনেকভাবে অনেক সাংবাদিককে অপদস্থ করা হয়েছে।’
বর্তমানে যত্রতত্র মামলা ও আসামি করা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ব্যক্তিগতভাবে কেউ মামলা করলে রাষ্ট্রের কোনো অধিকার নেই মামলা করতে পারবেন না বলার। তবে তাঁর ও তাদের (সরকার) একটাই করণীয় আছে, সেটি হলো পুলিশ তদন্ত করবে, তদন্তে সুস্পষ্ট তথ্য না পেলে পুলিশ অব্যাহতি দিয়ে দেবে। তদন্ত ও বিচারকাজে যথাযথ প্রক্রিয়া বজায় রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করা হবে। তবে সরকার আদালতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
সাবেক সংসদ সদস্য ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ফুটবলার (বিএনপি নেতা) আমিনুল হক বাংলাদেশের জন্য পুরস্কার এনেছিলেন। তাঁকে যেভাবে অত্যাচার করা হয়েছিল, তখন কি প্রশ্ন করেছিলেন? আমিনুল জেলও খেটেছেন। তিনি বলেন, ‘সাকিবের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এটি পুলিশের ব্যাপার। আমরা যতটুকু বলার চেষ্টা করেছি, মামলা হওয়া মানে তো গ্রেপ্তার নয়। আমার বিশ্বাস, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে, যাতে কেউ অতি উৎসাহী হয়ে গ্রেপ্তার না করে।’ সাকিব গ্রেপ্তার হবে না বলে আশা প্রকাশ করেন আসিফ নজরুল।
নির্বাচন কমিশন ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিষয়ে বাধ্যবাধকতার কথা বলেছে, এ বিষয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রথম উপলব্ধি করা উচিত, তাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা কী ছিল। ভুয়া নির্বাচন করা তাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ছিল? তারা আগে বিবেচনা করুক।