সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম. তৌহিদ হোসেন বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান।
বিমানবন্দরে অন্যান্যের মধ্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন এবং পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম উপস্থিত ছিলেন।
বিদায়ের আগে রাষ্ট্রীয় প্রোটোকল অনুযায়ী ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে ‘স্ট্যাটিক গার্ড অব অনার’ প্রদান করা হয়।
এর আগে, শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্বাগত জানান। এ ছাড়া তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা, গার্ড অব অনার এবং তোপধ্বনি দেওয়া হয়।
এরপর ভুটানের প্রধানমন্ত্রী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন। এ সময় শুক্রবারের (২১ নভেম্বর) ভূমিকম্পে বাংলাদেশে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির বিষয়ে খোঁজখবর নেন তোবগে।
পরে তিনি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং সেখানে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তোবগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন আলাদাভাবে সফররত ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
শনিবার ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেন। বৈঠকে তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা করেন, বিশেষ গুরুত্ব দেন বাণিজ্য, সংযোগ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বাড়াতে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী তোবগের সঙ্গে এই সফরে ছিলেন ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিয়নপো ডি এন ধুঙ্গিয়েল, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী লিয়নপো নামগিয়াল দরজি এবং ভুটানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।


