রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতের দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
সোমার মামা অনন্ত কুমার জানান, সন্ধ্যার পর অফিস থেকে বাসায় ফিরে নিজের রুমে গিয়ে চুপচাপ শুয়ে ছিলেন সোমা। অনেক ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে স্ত্রীসহ তিনি সোমার ঘরে ঢুকে দেখতে পান যে তার মুখ দিয়ে লালা বের হচ্ছে। কাছে গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলে সোমা শুধু এতটুকুই বলেছিলেন, ‘আমার তীব্র মাথাব্যথা। তাই আমি ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলাম।’ এরপর দ্রুত তাকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন সেখানকার চিকিৎসক। কিন্তু ঢামেকে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, সোমা আর বেঁচে নেই।
অনন্ত কুমার বলেন, আমার বোনের একমাত্র মেয়ে ছিল সোমা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করে বাড্ডায় প্রাণ কোম্পানিতে চাকরি করতো। তার বাবার নাম গোপাল দে। বরিশালে তাদের দেশের বাড়ি হলেও নদীতে তা ভেঙে যাওয়ায় ঢাকার হাজারীবাগের বাসায় ভাড়া থাকত তারা। সোমা দীর্ঘদিন ধরে মাথাব্যথায় ভুগছিল। এ নিয়ে আমরা তাকে কয়েকবার ডাক্তারও দেখিয়েছি। দু-একদিন পর তার মামীর সঙ্গে আবার ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা ছিল। তার এই মাথাব্যথার কারণে পরিবারের কারো সঙ্গে তেমন একটা কথা বলতো না সে। ঠিকমতো খাবার খেত না। অফিস থেকে বাসায় ফিরে ঘরে চুপচাপ বসে থাকতো। অনেকটা একাকী প্রকৃতির ছিল সোমা।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. ফারুক জানান, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।