বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বন্দরে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল উদ্বোধনের পর তিনি এ নির্দেশ দেন।এসময় এম শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভারতীয় পণ্যবোঝাই ট্রাক এ কার্গো ইয়ার্ডে রাখা হবে। একই সঙ্গে রপ্তানিমুখী বাংলাদেশি পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোও এ ইয়ার্ডে অবস্থান করবে। প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সময় স্কেলে ট্রাকগুলো ওজন করা হবে। ফাঁকির কোনো সুযোগ থাকবে না।
পাসপোর্টযাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমরা একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করছি। যাত্রীদের আর কাকের মতো বাইরে বসে থাকতে হবে না। এক কিলোমিটার জায়গা নিয়ে বড় ধরনের একটি যাত্রী টার্মিনাল তৈরি করা হবে। সেখানে বসা, খাওয়ার জায়গাসহ সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে। বাস থেকে নামার পর চেকপোস্টে যাত্রীদের নানাভাবে হয়রানি বন্ধে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- নৌ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, বন্দরের চেয়ারম্যান মানজারুল মান্নান (অতিরিক্ত সচিব), জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, বিজিবি দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের রিজিওন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবির, বেনাপোল কাস্টমসের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান, শার্শা উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা নুসরাত ইয়াসমিন, বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মামুন তরফদার, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান ও সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ৩২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ টার্মিনালে একসঙ্গে ১২০০-১৫০০ পণ্যবাহী ট্রাক রাখা যাবে। ফলে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি কমে আসবে। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বাণিজ্য ও রাজস্ব আয় বাড়বে বলে মনে করেন।