শুক্রবার, জুলাই ১৮, ২০২৫
শুক্রবার, জুলাই ১৮, ২০২৫
33.5 C
Dhaka
Homeস্বাস্থ্যকুমড়ো বীজ খাওয়ার আদর্শ সময় কোনটি?

কুমড়ো বীজ খাওয়ার আদর্শ সময় কোনটি?

প্রকাশ: জুলাই ১৭, ২০২৫ ৬:৫০

উপকারিতার কথা শুনে কুমড়ো বীজ খাওয়া শুরু করেছেন। খালিপেটে নাকি ভরপেটে, কখন এই বীজ খাওয়া যায়? কোন সময় খেলে কী উপকার?

“খাওয়া ভাল, খেয়ে নাও”— এমন কথা বলেই ব়ড়রা শিশুদের খাওয়ান। কিন্তু সেই খাবারের ঠিক কী কী পুষ্টিগুণ, তা জানা থাকে না অনেকেরই। তবে এখন সময় বদলেছে। গুগ্‌ল, সমাজমাধ্যমের যুগে খাদ্যাভ্যাস, পুষ্টিগুণ নিয়ে আলোচনা, লেখালেখি, ভিডিয়ো রয়েছে সর্বত্রই। সে কারণেই এমন অনেক খাবারের কদর বাড়ছে, যার দিকে আগে কেউ ফিরেও তাকাতেন না।

সেই তালিকাতেই রয়েছে কুমড়োর বীজ। কুমড়োর পুষ্টিগুণ যথেষ্ট। কিন্তু তার বীজটিও যে শরীরের নানা উপকারে লাগতে পারে, সে কথা জানাই ছিল না অনেকের। কুমড়ো বীজ শুকিয়ে কেউ কেউ রেখে দিতেন মাটিতে ছড়িয়ে গাছ করার জন্য। তবে এখন সেই সাদা বীজ ভেঙে তার ভিতরের সবুজ কুমড়োর দানা বিক্রি হয় প্যাকেটে মুড়ে। সেই বীজই দাম দিয়ে কিনে লোকে খান। তার কারণও আছে। বীজটি ভিটামিন এ-তে ভরপুর। ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জ়িঙ্কও রয়েছে। মেলে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার। কেউ বীজটি শুকনো কড়ায় নাড়িয়ে চাড়িয়ে স্ন্যাক্স হিসেবে খাচ্ছেন, কেউ আবার মিশিয়ে নিচ্ছেন স্মুদি বা দইয়ে। কিন্তু কুমড়ো বীজ খাবেন কখন? সকালে উঠে খালি পেটে, না কি দিনের অন্য সময়ে তা খাওয়া ভাল?

সকালে উঠে: দিনের শুরুতেই কয়েকটি কুমড়ো বীজ বাদামের মতো চিবিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। ঘুম থেকে ওঠার পর শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তির দরকার হয়। সেই শক্তির জোগান দেবে কুমড়োর বীজ। এতে রয়েছে জ়িঙ্ক। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এই খনিজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়া, স্বল্প পরিমাণে বীজ খেলেও জল তেষ্টা পায়। সকালে উঠে পর্যাপ্ত জল খেলে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ সহজে বেরিয়ে যাবে।

শরীরচর্চার পর: প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটে ভরপুর কুমড়োর বীজ। ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন’ থেকে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র বলছে, এতে ৯ রকম জরুরি অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে। আর রয়েছে লিউসাইন, আইসোলিউসাইন, ভ্যালাইনের মতো উপাদান, যা প্রোটিন সংশ্লেষে সাহায্য করে। সেই কারণেই পুষ্টিবিদেরা বলছেন, শরীরচর্চার পর কিছুটা কুমড়ো বীজ রোস্ট করে বা শুকনো খোলায় নাড়াচাড়া করে খেয়ে নেওয়া যেতেই পারে। এতে শরীর প্রয়োজনীয় প্রোটিন পাবে, যা পেশিতে শক্তি সরবরাহের জন্য জরুরি।

ঘুমের আগে: কুমড়ো বীজকে প্রাকৃতিক ‘ঘুমপাড়ানি ওষুধ’ বললেও ভুল হয় না। এতে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, ট্রিপটোফ্যান, জ়িঙ্কের মতো উপাদান। যা ঘুম আনতে সাহায্য করে। স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত এবং শিথিল করে ম্যাগনেশিয়াম। ট্রিপটোফ্যান এক প্রকার অ্যামাইনো অ্যাসিড। ট্রিপটোফ্যানকে সেরোটোনিনে রূপান্তরিত করে জিঙ্ক। ঘুমের চক্র নিয়ন্ত্রণ করে সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন নামক দু’টি হরমোন। ট্রিপটোফ্যান সেরোটোনিন ক্ষরণে সাহায্য করে। এই সেরোটোনিন রূপান্তরিত হয় মেলাটোনিন-এ। ঘুমোনোর আগেও তাই এই বীজ অল্প মাত্রায় খাওয়া যেতে পারে।

আমেরিকার হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য বলছে, দিনে এক জন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ মানুষ ২৮-৩০ গ্রাম কুমড়ো বীজ খেতে পারেন। তবে কিডনি বা লিভারের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

আরও পড়ুন
spot_img

জনপ্রিয় খবর