বুধবার (২৭ আগস্ট) রিয়াসি জেলা পুলিশের প্রধান পরমবীর সিংয়ের বরাত দিয়ে এ ঘটনায় আহত অবস্থায় এখন পর্যন্ত ২৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের সবাইকে কাটারা শহরের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার (সিএইচসি) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারী বৃষ্টির জেরে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে মন্দিরের যাত্রাপথে অবস্থিত ইন্দ্রপ্রস্থ ভোজনালয় এবং তার আশেপাশের এলাকায় ভয়াবহ ভূমিধস ঘটে। ধসের পরপরই উদ্ধার তৎপরতায় নামে মন্দির কমিটি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। কিছু সময় পর উদ্ধারকাজে যোগ দেয় ভারতের জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের উদ্ধারকারী বাহিনী এনডিআরএফ এবং আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফের সদস্যরা।
গত তিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে রিয়াসি জেলাসহ জম্মু-কাশ্মিরজুড়ে। ভারী বৃষ্টির জেরে ভূমিধস ও হড়পা বানের খবর আসছে জম্মু-কাশ্মিরের বিভিন্ন জায়গা থেকে।
রিয়াসি জেলা পুলিশের প্রধান পরমবীর সিং বলেছেন, দুর্যোগ কবলিত বেশিরভাগ এলাকার সড়ক যোগাযোগ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণ বা অনেকাংশে ধ্বংস হয়ে গেছে। সেসব এলাকাতেও উদ্ধারকারী বাহিনী পাঠানো হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন এলাকা থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে শিগগিরই জম্মু-কাশ্মিরের আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি)। আইএমডি’র সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আরও অন্তত দুই-তিন দিন এমন থাকবে জম্মু-কাশ্মিরের আবহাওয়া এবং অনেক অঞ্চলে আরও ভারী বর্ষণ হতে পারে। পাশাপাশি কাটরা, জম্মু, সাম্বা, রিয়াসি, উধমপুর, ডোডা এবং কিশ্তওয়াড় জেলায় ভূমিধস এবং হড়পা বানের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বৈষ্ণোদেবী মন্দির যাত্রা স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে কাঙ্ক্ষিত গতিতে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করা যাচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন এনডিআরএফের এক কর্মকর্তা।