সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী আতিক ফয়সাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে স্বাক্ষর না করায় আমি সার্টিফিকেট তুলতে পারছি না।
সংবাদ সম্মেলনে উক্ত শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন,আমার অনার্সের রেজাল্ট প্রকাশের পর সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে প্রক্টর আরিফুজ্জামান রাজিব এর স্বাক্ষর নিতে গেলে তিনি স্বাক্ষর না করে কাগজপত্র রেখে দেন। একাধিকবার যোগাযোগ করার পরেও তিনি রেসপন্স করেন নি। ফলে দীর্ঘদিন সার্টিফিকেটের জন্য ঘুরতে হচ্ছে। আমার একটা চাকরির কথা হচ্ছিলো, সেটিও সার্টিফিকেট না থাকায় আর আগানো সম্ভব হয় নি।
সনদ উত্তোলনের ফর্মে স্বাক্ষর না করায় সার্টিফিকেট তুলতে পারিনি। সহপাঠীরা সনদ পেলেও আমি প্রক্টরের কাছে গিয়ে আটকে আছি। বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো উত্তর পাইনি। আমার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা বোর্ডে কোনো শাস্তি হয়নি। এখন পর্যন্ত আইনবহির্ভূত কোনো কাজের জন্য আমি শাস্তির সম্মুখীন হই নি। অথচ অকারণে হয়রানি করা হচ্ছে।
কোনো ধরনের একাডেমিক বা প্রশাসনিক শাস্তির নোটিশ ছাড়াই প্রক্টর ইচ্ছাকৃতভাবে সার্টিফিকেট তোলার প্রক্রিয়া আটকে রেখেছেন। দিনের পর দিন অফিসে ঘুরিয়েও সমস্যার সমাধান মিলছে না। এমনকি সরাসরি যোগাযোগ করলেও প্রক্টর বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন।
চাকরির পরীক্ষা ও পেশাগত জীবনে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ করে উক্ত শিক্ষার্থী আরও বলেন, “সার্টিফিকেট না থাকার কারণে আমি একাধিক চাকরির সুযোগ হারাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই গড়িমসিতে আমার ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মুখে।”
সংবাদ সম্মেলন থেকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অবিলম্বে এ সমস্যার সমাধান দাবি করেন এবং শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এমন হয়রানি বন্ধ করার আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে প্রক্টর আরিফুজ্জামান রাজিবকে ফোন করা হলে তিনি সামনাসামনি যোগাযোগ করতে বলেন। পরবর্তীতে প্রক্টর অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায় নি। আবারও ফোন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেয়ায় তার মন্তব্য পাওয়া যায় নি।