গত কদিনে দাঙ্গা হাঙ্গামাসহ বিভিন্ন নাঁজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। শান্তি–শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করলেও থেমে নেই সহিংসতা। বাড়ছে হানাহানি ও মারামারি।

দিনের বেলায়ই প্রকাশ্যে পিকেটিং, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটছে। এতে করে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।এদিকে এর সুযোগ নিচ্ছে পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠনগুলো।তারা পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টায় লিপ্ত আছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব সংগঠন পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে। এ কারণে এলাকার সাধারণ মানুষ আরো বেশি অসহায় হয়ে পড়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, ১৪৪ ধারা বহাল থাকলেও বারবার তা ভঙ্গের ঘটনা ঘটছে। ইতিমধ্যে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর পদক্ষেপ জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহল জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ি এলাকায় সংঘাত, দখলবাজি, ভয়ভীতি ও নির্যাতনের কারণে সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অনেক সময় নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো ঘটনাও ঘটে, যা পাহাড়ি সমাজে গভীর ক্ষোভ তৈরি করছে। প্রশ্ন উঠছে এত আইন-কানুন থাকার পরও কেন এসব অপরাধ থামানো যাচ্ছে না।
খাগড়াছড়ি ও গুইমারার সাধারণ মানুষ দ্রুত সন্ত্রাস ও সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
তাদের মতে, সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হলে, পাহাড়ের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ ও ভয়ানক আকার ধারণ করতে পারে।


