গ্লোবাল স্টক টেকিং, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রুপান্তর এবং ক্ষতিপূরণ তহবিল গঠনের সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ২৮তম জলবায়ু সম্মেলন। আর এই সম্মেলনে দীর্ঘ নাটকীয় আলোচনা শেষে সমাপনী পর্বে আসেন কপ সভাপতি সুলতান আল জাবের।
যোগ দিয়ে এবারের সম্মেলনকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছেন তিনি। আর বাংলাদেশ বলছে, প্রাপ্তি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের দিক থেকে আগের যেকোনোবারের চেয়ে এবারের সম্মেলন সফল। শুরুতেই ক্ষতিপূরণ তহবিল কার্যক্রম শুরু করে চমক জাগায় এবারের সম্মেলন। নিরাপদ পৃথিবী উপহার দিতে শেষটাও ছিল চমক জাগানিয়া।
সমাপনী পর্বে সুলতান আল জাবের বলেন, নতুন একটি পথ খুজে পাওয়া অত্যন্ত জরুরি ছিল। তাই এই সিদ্ধান্ত ঐতিহাসিক। প্রকৃত সফলতা আসবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে। কথা নয়, কাজেই আমাদের পরিচয়। এখন চুক্তিটিকে বাস্তব রূপ দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
এবারের কপ সম্মলনে নেয়া সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সবাইকে নিয়ে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের তাগিদ দেন জো বাইডেনের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি। তিনি বলেন, এই চুক্তি (প্যারিস চুক্তি) সম্পর্কিত বিভিন্ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন একমত হয়েছে। এই ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত কৌশলগুলোতে পরিবর্তন আনবো আমরা। অন্যান্য পক্ষগুলোও যেন আমাদের সাথে যোগ দেয় সেই আহ্বান জানাচ্ছি।
যেকোনো সম্মেলনের চেয়ে এবারের সম্মেলন সফল উল্লেখ করে কপ সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জলবায়ু বিষয়ক পূর্ববর্তী সম্মেলনগুলোর চেয়ে এবারের আয়োজন অনেক বেশি সফল। কার্বন নিঃসরণ কমাতে কপ-২৮-এ এমন কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যা পুরো প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করেছে। যারা এই ইস্যুতে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই।
উল্লেখ্য, আগামী জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আজারবাইজানের বাকু শহরে।