বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। স্থানীয় সময় শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেন সৌদির ইংরেজি দৈনিক আরব নিউজে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ঢাকায় নিযুক্ত সৌদির রাষ্ট্রদূত ইসা আল-দুহাইলান।
যেখানে সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা আল-দুহাইলান বলেন, দুবছর আগে স্বাক্ষরিত এক চুক্তির আওতায় সৌদি আরব সরকার বাংলাদেশি চিকিৎসক ও নার্সদের কাজে নিয়োগ করার সিদ্ধান্তের অনুমোদন দিয়েছে।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, সৌদি আরব দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ থেকে কোনও মেডিকেল কর্মী নিয়োগ করেনি। তবে বর্তমানে আমরা তাদের নিয়োগ শুরু করেছি। কারণ তারা ইতোমধ্যে আমাদের মানদণ্ডে পৌঁছেছে। এই সংখ্যা ইনশাআল্লাহ, অদূর ভবিষ্যতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে। এটা কেবল বাজারকে শুরু করার প্রক্রিয়া এবং কেমন চলে তা দেখার জন্য।
সৌদি রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি দল গত বছর দুবার বাংলাদেশ সফর করেছে। তারা আরও চিকিৎসাকর্মী নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সফর অব্যাহত রাখবে। সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করতে যাওয়া পরবর্তী দলে নার্সরা থাকবে।
এ বিষয়ে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খায়রুল আলম বলেন, সৌদি কর্তৃপক্ষ আমাদের ১৫০ জনেরও বেশি প্রশিক্ষিত নার্স পাঠাতে বলেছিল। আমাদের মন্ত্রণালয় এখন শর্তগুলো যাচাই-বাছাই করছে। যেমন বাংলাদেশি নার্সদের কোথায় নিয়োগ দেয়া হবে, তারা সরকারি হাসপাতাল বা বেসরকারি স্বাস্থ্য সুবিধায় নিয়োগ পাবে কি না, ইত্যাদি। যেহেতু এটা নতুন খাত তাই সরকার এখন চিকিৎসকদের নিয়োগের জন্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলছে।
খায়রুল আলম বলেন, আমরা সৌদি আরবের সর্বশেষ এ পদক্ষেপ, বাংলাদেশি স্বাস্থ্য খাতের কর্মী নিয়োগের বিষয়টিকে স্বাগত জানাই।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য বলছে, সৌদি আরবে বসবাসরত প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীর মাঝে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র কয়েক ডজন। এর আগে ২০২২ সালে সৌদি আরবে বাংলাদেশি চিকিৎসক নিয়োগের বিষয়ে উভয় দেশের মাঝে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পরে গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশি চিকিৎসাকর্মীদের একটি দল সৌদি আরবে যান।