ভালো পুঁজি নিয়ে বল হাতে দারুণ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে পাথুম নিশাঙ্কা আর চারিথ আসালঙ্কার চতুর্থ উইকেট জুটি বদলে দিল ম্যাচের গতিপথ। এ দুই ব্যাটার সাজঘরে ফিরলেও শ্রীলংকাকে জয় পেতে খুব বেশি কষ্ট করতে হয়নি।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৮৬ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। জবাবে ৭ উইকেট হারিয়ে রোমাঞ্চকর এক জয় তুলে নেয় লংকানরা। এ সময় সফরকারীদের হাতে ছিল আরো ১৭ বল।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় শ্রীলংকা। প্রথম বলেই আউট হন আভিষ্কা ফার্নান্দো। মেন্ডিস ১৬ ও সাদিরা সামারাবিক্রমা ১ রানে ফিরলে ৪৩ রানে ৩ উইকেট হারায় লংকানরা। এ অবস্থায় বড় প্রতিরোধ গড়েন পাথুম নিশাঙ্কা ও চারিথ আসালঙ্কা।
চতুর্থ উইকেটে ১৮৫ রানের বিশাল জুটিতে ম্যাচ নিজেদের দিকে নিয়ে আসেন নিশাঙ্কা ও আসালঙ্কা। যেখানে দারুণ এক সেঞ্চুরির দেখা পান নিশাঙ্কা। ব্যক্তিগত ১১৪ রানে তিনি ফেরার পর দ্রুত আরো ২ উইকেট হারায় দল। আসালঙ্কা ৯১ ও জানিথ লিয়ানাগে করেন ৯ রান।
সপ্তম উইকেটে ৩৪ রান যোগ করেন হাসারাঙ্গা ও ওয়েল্লালাগে। ২৫ রানের ক্যামিও খেলে হাসারাঙ্গা যখন আউট হন, জয় থেকে ২ রান দূরে লংকানরা। যা সহজেই নেন ওয়েল্লালাগে। বাংলাদেশের হয়ে শরিফুল ও তাসকিন দুটি এবং সাকিব, মিরাজ ও তাইজুল একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলংকার অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। বল হাতে শুরুতেই সাফল্য পায় তার দল। রানের খাতা খোলার আগে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। চলতি সিরিজে দুই ওয়ানডের দুটিতেই ডাক মারার লজ্জা পান তিনি।
দ্বিতীয় উইকেটে প্রতিরোধ গড়েন সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যক্তিগত ৪০ রানে শান্ত আউট হলে ভাঙে দুজনের ৭৫ রানের জুটি। দীর্ঘদিন পর অর্ধশতকের দেখা পাওয়া সৌম্য ৬৮ রানের চোখজুড়ানো ইনিংস খেলেন। তবে রানের খাতা খুলতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
চারে নেমে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলেছেন তাওহীদ হৃদয়। উপহার দিয়েছেন অপরাজিত ৯৬ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। মূলত তার ব্যাটে ভর করেই বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। বাকীদের মাঝে মুশফিকুর রহিম ২৫ ও তানজিম সাকিব ১৮ রান করেন।
ইনিংসের শেষদিকে ১০ বলে অপরাজিত ১৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন তাসকিন। শ্রীলংকার হয়ে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ৪টি, দিলশান মাদুশাঙ্কা দুটি ও প্রমোদ মাদুসান একটি করে উইকেট নেন।