রোববার (৩১ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ বিষয়ক টাস্কফোর্স সভা শেষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এ কথা জানিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য সেহেতু প্রথম ট্রেনে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ আসবে।
এর আগে ভারত থেকে ২৯ মার্চ শুক্রবার প্রথম ধাপে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে বলে জানিয়েছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখা) রেজওয়ানুর রহমান।
রেজওয়ানুর রহমান জানান, প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ ট্রেনে করে আসার কথা রয়েছে। অবশিষ্ট পেঁয়াজ পর্যায়ক্রমে আমদানি হবে।
দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় সরকার ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারের দাম বাড়ায় দেশটির সরকার রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। পরে হঠাৎ করে পণ্যটির দাম অনেক বেড়ে যায়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বন্ধুত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশে সীমিত আকারে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দেয় ভারত সরকার। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে দেশের বাজারে কমতে থাকে পণ্যটির দাম।
এর আগে ২৭ মার্চ বুধবার ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয় অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে।
এর আগে, গত ২ মার্চ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) নারী উদ্যোক্তাদের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেছিলেন, চলতি সপ্তাহে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আসবে। এর ফলে বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
এদিকে, এখন দেশে হালি পেঁয়াজের পূর্ণাঙ্গ মৌসুম চলছে। পেঁয়াজের দাম এখনো সহনীয় আছে। ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে এলেও দামের ওপর তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।