বৃহস্পতিবার, জুন ২৬, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, জুন ২৬, ২০২৫
29.1 C
Dhaka
Homeবাংলাদেশ১৮ দিনের অচলাবস্থা শেষে স্বাভাবিক হলো চক্ষু ইনস্টিটিউট, স্বস্তিতে রোগীরা

১৮ দিনের অচলাবস্থা শেষে স্বাভাবিক হলো চক্ষু ইনস্টিটিউট, স্বস্তিতে রোগীরা

প্রকাশ: জুন ১৪, ২০২৫ ১:৪২

রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অচলাবস্থা কাটিয়ে শেষমেশ স্বাভাবিক হয়েছে সেবা কার্যক্রম।দীর্ঘ ১৮ দিন পর শনিবার (১৪ জুন) সকাল থেকে হাসপাতালটির সব বিভাগে পুরোদমে চালু হয়েছে চিকিৎসাসেবা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকেই চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফদের কর্মচঞ্চলে মুখর হয়ে ওঠে হাসপাতাল ভবন। পাশাপাশি রোগী ও তাদের স্বজনদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। বহির্বিভাগ, ওয়ার্ড এবং জরুরি বিভাগে চিকিৎসকদের আন্তরিকভাবে সেবা দিতে দেখা গেছে।

চিকিৎসকরা জানান, সকাল থেকেই তারা হাসপাতালে এসেছেন। রোগীরাও আসছেন। যার যেটা প্রয়োজন, সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অনেককে ভর্তি করা হয়েছে।

জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ও আহতদের চিকিৎসা সমন্বয়ক ডা. যাকিয়া সুলতানা নীলা বলেন, ‘শনিবার সকাল থেকেই সব বিভাগে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেছি। চিকিৎসক ও নার্সরাও কাজ করছেন আগের মতোই। এখন সবকিছু স্বাভাবিক। আশা করছি, আর কোনো বিভ্রান্তি বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না। রোগী ও চিকিৎসকদের মধ্যে আবার সেই আস্থা ফিরিয়ে আনতে আমরা কাজ করছি।’

কিশোরগঞ্জ থেকে আসা মো. কায়সার আলী বলেন, ‘গত সপ্তাহে এসে ফিরে গিয়েছিলাম। এবার আসতে পেরেই ডাক্তার দেখিয়েছি। খুব ভালো সেবা পাচ্ছি।’

নোয়াখালীর বাসিন্দা এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘চোখের অপারেশন করানোর জন্য এক মাস অপেক্ষা করেছি। এখন সব চালু হয়েছে জেনে খুবই ভালো লাগছে।’

গত ২৮ মে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে’ আহত কয়েকজনের সঙ্গে চক্ষু ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক-নার্সদের সংঘর্ষ ঘটে। এতে হাসপাতালের অন্তত ১০ জন স্টাফ আহত হন বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই ঘটনার পর নিরাপত্তার অভাবে ২৯ মে থেকে পুরো হাসপাতাল কার্যত অচল হয়ে পড়ে। রোগ নিয়েই ফিরে যান শত শত মানুষ। ভোগান্তিতে পড়ে ভর্তি থাকা সাধারণ রোগীরা।

পরে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চায় কর্তৃপক্ষ। গত ৪ জুন আংশিকভাবে চালু করা হয় জরুরি বিভাগ এবং ১২ জুন চালু হয় বহির্বিভাগ। তবে শনিবার থেকে হাসপাতালের সব বিভাগেই চিকিৎসাসেবা পুরোদমে চালু হলো।

আরও পড়ুন
spot_img

জনপ্রিয় খবর