আজ শুক্রবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে মৎস্যজীবী লীগের ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে একটা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী কিছু কিছু সশস্ত্র তৎপরতা শুরু করেছে। এটা আমাদের নলেজে আছে। এর উৎস কোথায়? তবে আমি বলতে পারি সরকার অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে। যৌথ অভিযান চলছে। আমি মনে করি না, এতে গোটা পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত হবে। এটা মনে করার কোনো কারণ নেই।’
এই অস্থিতিশীলতার সঙ্গে আন্তর্জাতিক কোনো শক্তি জড়িত আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, এই সম্প্রদায় শুধু বান্দরবানে। খাগড়াছড়ি বা রাঙামাটিতে নেই। এরা একটা নির্দিষ্ট এলাকায়। তাদের মধ্যে থেকে কিছু তরুণ ইদানীং অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যৌথ অভিযান চালাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আশা করি, অচিরেই পরিস্থিতি শান্ত হবে।’
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজ বাংলাদেশে কিছু কিছু দল নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ, আন্দোলনে ব্যর্থ। তারা বলেছিল, সরকার নির্বাচন করতে পারবে না, তারা তা ঠেকাতে পারেনি। নির্বাচন হয়ে গেছে। তারপর বলেছে, পাঁচ দিনের সরকার টিকবে না। ৭ জানুয়ারি থেকে তিন মাস হয়ে গেল। বিএনপির এখন চেয়ে চেয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া আর কিছু করার নেই।
সরকার দেশজুড়ে হরিলুট চালাচ্ছে—বিএনপির এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রাখেন, কীভাবে হরিলুট চলছে? কোথায় হরিলুট চলছে? অন্ধকারে ঢিল ছুড়বেন না, সত্য বলুন। ৮০ ভাগ নেতা-কর্মী জেলে দাবি করে মির্জা ফখরুল মায়াকান্না করেন। তালিকাটা প্রকাশ করুন।
আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান, মৎস্যজীবী লীগের কার্যকরী সভাপতি সাইফুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আজগর প্রমুখ।