বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) তিনি বলেন, ‘রুমার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার নিজাম উদ্দিন সুস্থ আছেন। তার সাথে কথা হয়েছে।’
তবে এখনও নেজামের কোনো খোঁজ না পেয়ে উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় রয়েছেন তার পরিবার। বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও নেজামের স্ত্রী মাইছুরা ইশফাত বলেন, অপহরণের দুই দিনেও তার স্বামীর হদিস না পাওয়ায় একমাত্র সন্তানকে নিয়ে চরম আতঙ্কে দিন কাটছে। তিনি জীবিত না মৃত, তাও জানি না।
প্রশাসনের কেউ স্বামীর খোঁজ দিতে পারছে না। কখনো কল্পনাও করিনি আমার স্বামীকে কেউ এভাবে অপহরণ করবে। এখন শুধু স্বামীর ফোনের অপেক্ষায় রয়েছি বলে জানান তিনি।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে ৭০ থেকে ৮০ জনের একটি সশস্ত্র দল সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখায় হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের পাহারায় থাকা পুলিশ ও আনসারদের আটটি চায়নিজ রাইফেল, দুটি এসএমজি, চারটি শটগান ও ৪১৫ট রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেয়।
এরপর কাছের মসজিদেই প্রবেশ করে কেএনএফে সন্ত্রাসীরা। সেখান থেকে তারাবির নামাজে থাকা ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর গতকাল বুধবার দুপুরে থানচি উপজেলায় সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের দুটি শাখায় হামলা চালিয়ে ডাকাতি করে সন্ত্রাসীরা। সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে গুলি চালাতে চালাতে ব্যাংক দুটির শাখায় প্রবেশ করে। সেখান থেকে নগদ টাকা, ব্যাংকে কর্মরতদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় তারা।
কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সরকারি দুই ব্যাংকের তিন শাখায় সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটের পর আতঙ্ক বেড়েছে স্থানীয় মানুষদের। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না তারা। এ ঘটনায় নিরাপত্তা জোরদারে জেলার সাত উপজেলার ব্যাংকের শাখাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হন পুলিশের দুই সদস্যসহ তিনজন। বুধবার রুমায় যান পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন বলেছেন, ম্যানেজারকে উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফ সন্ত্রাসীরা নিজেদের অবস্থান জানান দিতেই এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।