জাতীয় ঈদগাহের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতারা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের হাজারো মানুষ নামাজ আদায় করেন। ঈদের জামাতে ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন।
এর আগে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সরেজমিন দেখা যায়, নামাজ আদায়ের জন্য ঈদগাহের মূল ফটকের সামনে মানুষের সারি। হাজারো মুসল্লি সারিবদ্ধভাবে ঈদগাহে ঢুকছেন। নামাজের নির্দিষ্ট সময়ের আগেই জাতীয় ঈদগাহ পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
ঈদগাহ–সংলগ্ন কদম ফোয়ারার সামনের সড়ক, হাইকোর্টের মূল ফটকের সামনে, তোপখানা সড়কের একাংশেও মুসল্লিরা নামাজে দাঁড়িয়ে যান। সব ধরনের শ্রেণি-পেশা-আর্থিক অবস্থান ভুলে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে সবাই নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে খুতবার পর মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও দেশের মানুষের সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়। মোনাজাত শেষে বুকে বুক মিলিয়ে হৃদয়ের উষ্ণতায় প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হন সবাই। মুসল্লিরা পরস্পর কোলাকুলি ও কুশল বিনিময় করেন।
নামাজ আদায় শেষে মুসল্লি হামিদুল হক বলেন, ‘প্রতিবছর আমি জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে এসে ঈদের নামাজ আদায় করি। আজও এসে ঈদের নামাজ আদায় করেছি। সবার জন্য দোয়া করেছি।’
জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লির ঈদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রাখা হয়। নারীদের জন্যও আলাদা নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা ছিল। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাতীয় ঈদগাহে এবার মোট ১২১টি কাতারে ৩৫ হাজার মুসল্লির নামাজের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সকাল সাতটায়। প্রতিবছরের মতো এবারও এখানে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সব শেষ জামাত বেলা পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।