সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আশফাকও জানিয়েছে, জিম্মি চুক্তির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে দুই পক্ষ এবং হামাস এ ব্যাপারে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঘোষণা দেবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আল-কুদসকে হামাসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার করা ছাড়াই যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে রাজি হয়েছেন তারা। এই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে শুধুমাত্র নারী, বৃদ্ধ, শিশু ও অসুস্থদের ছাড়া হবে। তাদের ছাড়ার পরও বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনা তাদের কাছে থেকে যাবে। এই বিষয়টি কাজে লাগিয়ে যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপে সুবিধা আদায় করে নেবেন তারা।
এ দুটি সংবাদমাধ্যম ছাড়াও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে নিশ্চয়তা দিয়েছে জিম্মি ও যুদ্ধবিরতির তৃতীয় ধাপ শেষে গাজা থেকে সব ইসরায়েলি সেনাকে প্রত্যাহার করে নিয়ে যাওয়া হবে।
তবে অপর ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কান নিউজ জানিয়েছে, আরব সংবাদমাধ্যমগুলোতে যুদ্ধবিরতি এবং সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ব্যাপারে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে— এ ব্যাপারে কোনো কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।
বর্তমানে যে জিম্মি ও যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে কথাবার্তা হচ্ছে সেটিকে তিনটি ধাপে ভাগ করা হয়েছে।
চুক্তিতে বলা আছে— প্রথম ধাপে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ হবে ৪০ দিন। এই সময়ে হামাস ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে এবং ইসরায়েল কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেবে।
দ্বিতীয় ধাপের মেয়াদ হবে ৪২ দিন। এই ধাপে বাকি জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। একই সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপে গাজায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা হবে।
তৃতীয় ধাপেরও মেয়াদ হবে ৪২ দিন। এই সময়টায় হামাস মৃত জিম্মিদের মরদেহ ইসরায়েলের কাছে বুঝিয়ে দেবে।
সংবাদমাধ্যম আল-কুদস জানিয়েছে, হামাসের কর্মকর্তারা আশা করছেন, এই সপ্তাহের মধ্যেই দুই পক্ষ চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে।