শুক্রবার (৭ মে) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘ছয় দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমার জীবনে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দেয়া শুরু। আমি তখন ১৬ বছরের যুবক, কলেজে মাত্র ভর্তি হয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন বিভিন্ন জেলায় ঘুরতেন, সেসব মিটিংয়ে আমিও যেতাম। রাজনৈতিক আন্দোলনে দীক্ষিত হয়েছিলাম ৬ দফা দিয়ে। মুক্তির সনদ ৬ দফার সিঁড়ি দিয়েই আমাদের স্বাধীনতা, বাংলাদেশের অভ্যুদয়।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন,
গতকাল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বললেন, বঙ্গবন্ধু হত্যায় তারা কোনোভাবেই জড়িত নন। কিন্তু আমি বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার প্রসিকিউশন টিমের একজন সদস্য হিসেবে বলতে চাই, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। সাক্ষীদের জবানবন্দিতেও এ কথা এসেছে। যারা এটাকে অস্বীকার করেন, তারা মিথ্যাচার করেন। মিথ্যা দিয়ে সত্যকে ঢাকতে চান। জিয়াউর রহমান একজন অনুপ্রবেশকারী হিসেবে পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। পঁচাত্তরে তার প্রমাণ মিলেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘জিয়া বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছেন, আর গ্রেনেড হামলায় জড়িত জিয়াপুত্র তারেক রহমান। গ্রেনেড হামলার বিচার এখনো আমরা শেষ করতে পারিনি। প্রাথমিক বিচার হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের রায় এখনো হয়নি। আমরা আশা করব, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনাসহ সব খুনিদের রায় কার্যকর করতে পারব এ সরকারের আমলে। সেদিনই আমাদের আত্মা শান্তি পাবে।’