বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলের পরই বঙ্গোপসাগরের অদূরে দেখা যাচ্ছে চীনের নজরদারি জাহাজ। চীনের তিনটি নজরদারি জাহাজ শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল থেকে শুরু করে মূল ভারতীয় ভূখণ্ড ও আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মাঝামাঝি আন্তর্জাতিক জলসীমায় অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, কয়েক মাস ধরেই জাহাজগুলোর উপস্থিতি চিহ্নিত হচ্ছিল ভারত মহাসাগরে। কিন্তু বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলের পর হঠাৎই ভারতীয় উপকূলের কাছাকাছি চলে এসেছে সেগুলো।
আন্তর্জাতিক জলসীমায় থাকা ওই তিনটি নজরদারি জাহাজের পরবর্তী গন্তব্য বঙ্গোপসাগর কি না, তা নিয়ে ইতোমধ্যেই জল্পনা তৈরি হয়েছে। জাহাজগুলো বাংলাদেশের কোনো বন্দর বা পোতাশ্রয়ে ঘাঁটি গাড়ে কিনা সে ব্যাপারেও উদ্বিগ্ন ভারত।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পূর্ব থেকে শুরু করে মূল ভারতীয় ভূখণ্ড এবং আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মাঝামাঝি আন্তর্জাতিক জলসীমায় অবস্থান করছে শিয়াং ইয়াং হং ০৩, জোং শান ডা শু এবং ইউন ওয়াং ৭ নামে তিনটি চীনা জাহাজ।
এর মধ্যে জোং শান ডা শু চীনের ‘সামুদ্রিক গবেষণাগার’ নামে পরিচিত। ১১৪.৩ মিটার দীর্ঘ এবং ১৯.৪ মিটার প্রস্থ ৬৮০০ টনের জাহাজটি চীনের বৃহত্তম গবেষণা জাহাজ।
উপগ্রহচিত্রে ইতোমধ্যেই চীনা জাহাজের অবস্থান চিহ্নিত হয়েছে। আনন্দবাজার বলছে, ভারতের কাছে যে বিষয়টি বেশি উদ্বেগের তা হলো, অদূর ভবিষ্যতে শ্রীলঙ্কা বা মালদ্বীপের মতো বাংলাদেশের কোনো বন্দর বা পোতাশ্রয় চীনা নজরদারি জাহাজের ‘ঘাঁটি’ হয় কিনা। কারণ, সে দেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের একাংশের সঙ্গে চীনের ‘ঘনিষ্ঠতা’ রয়েছে।
গত কয়েক বছরে চীনা নজরদার জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’, ‘হাই ইয়াং ২৪ হাও’ এবং ‘শি ইয়ান ৬’ ভারতের প্রতিবেশী দুই দ্বীপরাষ্ট্র- শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা এবং মলদ্বীপের মালে বন্দরে সাময়িক ঘাঁটি গেড়েছিল। যা নিয়ে ওই দুই দেশের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক টানাপড়েন হয়েছে।
আনন্দবাজার বলছে, চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি বিরাট অঞ্চলের নিকটতম সমুদ্রবন্দর হলো চট্টগ্রাম। তাই কুনমিং থেকে চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক নির্মাণে ‘আগ্রহ’ রয়েছে বেইজিংয়ের, হাসিনার সময়ে যা সম্ভব হয়নি।