সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলিনি। আগেও বলেছি, এটার জন্য কিছু সময় লাগবে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে। আমরা তাদের অবশ্যই সেই সময় দিচ্ছি। আমরা তাদের সব বিষয়কে সমর্থন দিচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা একটা কথা খুব পরিষ্কারভাবে বলেছি, বর্তমানে দেশে যে অস্থিরতার চেষ্টা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা, সাম্প্রদায়িকতার ধোঁয়া তোলা হচ্ছে, এগুলোতে জনগণ যাতে বিভ্রান্ত না হন। জনগণ যাতে আগের মতো ধর্মীয় সম্প্রীতি অক্ষুণ্ণ রেখে, জনগণের নিরাপত্তাকে অক্ষুণ্ণ রেখে সরকারকে সহায়তা করেন। আমরা পুরোপুরিভাবে সেভাবে সহায়তা করছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তাদের মতবিনিময়ের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। গণতন্ত্র হত্যাকারী, ফ্যাসিস্ট সরকার মানুষের ওপর দীর্ঘদিন অত্যাচার, নির্যাতন চালিয়ে মানুষকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে তার থেকে মুক্তি পেয়ে মুক্ত পরিবেশে সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম বসেছেন বিএনপির নেতাদের সঙ্গে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কী কী করা যায়, সে বিষয়ে তারা মতামত দিয়েছেন। সরকারও তাদের মতামত জানিয়েছে।
তিনি বলেন, এখন মনে করি সরকারকে সহায়তা করা প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষের একমাত্র কর্তব্য। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সে মহলটি, যারা মানুষের অধিকার হরণ করেছিল, তারা আবার বাইরে থেকে, এখান থেকে পালিয়ে গিয়ে ভারতে অবস্থান নিয়ে, সেখান থেকে বাংলাদেশের বিজয় নস্যাৎ করার চক্রান্ত করছে।
আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আরও বলেন, দুর্ভাগ্যজনক, এত হত্যা-নির্যাতনের পরও সেই দলটি আবারও বিভিন্ন রকম কথা বলছে। তিনি মনে করেন এ বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। সব দলের সঙ্গে সরকারের কথা বলা প্রয়োজন, কিন্তু হত্যাকারীর সঙ্গে নয়।