তারেক রহমান বলেন‘আপনারা দলের ভাবমূর্তি বিনষ্টকারীদের চিহ্নিত করুন, প্রতিরোধ করুন, দল তাঁদের শুধু বহিষ্কারের অঙ্গীকারই নয়, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিচ্ছে।’
তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ধারাবাহিক মতবিনিময়ের অংশ হিসেবে সোমবার খুলনা বিভাগের সভায় তারেক রহমান কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে এ কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের ওপর তাঁর অগাধ আস্থার কথা জানিয়ে এ বিষয়ে এক-এগারোর দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দলের সব সংকটে তৃণমূলই ছিল বিএনপির শক্তি। তারা শত প্রলোভন আর নির্যাতন উপেক্ষা করে ইস্পাতকঠিন ঐক্য দিয়ে দলকে ধরে রেখেছে। তৃণমূল সঙ্গে থাকলে দল যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে যেমন সক্ষম হবে, তেমনি দল পরিচালনা করা তাঁর পক্ষেও অনেক সহজ হবে।
তারেক রহমান জনগণের প্রত্যাশা পূরণ ও আগামীর আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের ৩১ দফা কর্মসূচির মূল বিষয়গুলো তুলে ধরে এই বার্তা দেশের প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছানোর নির্দেশ দেন।
এ সময় তারেক রহমান ক্ষমতায় গেলে দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার নির্বিঘ্ন করতে ১৯৯৬ সালে বিএনপি দলীয় সরকারের পরিবর্তে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে সংযুক্ত করেছিল।
ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার তা সংবিধান থেকে মুছে দিয়ে তিনটি জাতীয় নির্বাচনে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে। আমরা জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে আবারও সংযুক্ত করতে চাই।’