গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উত্তর পাইলট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জেসমিন আক্তার বলেন,‘ গত ২০১৪ সালে আমাকে এই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আমি এই বিদ্যালয়ে যোগদান করার পরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষার্থী সংগ্রহ করে শিক্ষার মান উন্নয়ন করি। এই বিদ্যালয়ের দুই জন শিক্ষক রুহুল আমিন ও শফিকুল ইসলাম শাস্তি মুলক বদলী হয়ে এখানে আসেন। এরা দুইজন এখানে আসার পর থেকে ঠিকমত ক্লাস করান না ,এমনকি প্রধান শিক্ষকের কোন নির্দেশ মানেন না। ইচ্ছেমত করে বাচ্চাদের ছুটি দিয়ে চলে যান,মনমত ক্লাস করান। শফিকুল ইসলাম প্রতিদিন দেরি করে বিদ্যালয়ে আসেন। এতে বাঁধা দিলে তিনি আমাকে চর থাপ্পর মারতে তেড়ে আসেন।
প্রতিদিন সোয়া ১২ টা, সারে ১২ টায় বিদ্যালয়ে আসলেও হাজিরা খাতায় ৯ টা লিখে হাজিরা দেন। এতে বাঁধা দিলে অকথ্য ভাষায় গালি দেয় এবংমারতে আসে। ছুটি নিয়ে গেলেও পরে এসে আবার স্বাক্ষর করেন। বিভিন্ন সময় তিনি আমাকে কুপ্রস্তাব দেয়। আমি একজন নারী শিক্ষক হয়েও বিদ্যালয়ের উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
এতে প্রতিনিয়ত বাঁধা দিচ্ছেন শফিকুল ইসলাম। আমি এ থেকে মুক্তি চাই। এজন্য আমি আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করছি। এসময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাকবরাও সাংবাদিকদের কাছে শিক্ষক রুহুল আমিন ও শফিকুল ইসলাম দুই শিক্ষক শিশু শিক্ষার্থীদের সাথে বাজে ভষায় কথা বলাসহ বিভিন্ন অনিয়নের বিষয় তুলে ধরেন। তারাও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে এই দুই শিক্ষকের বিচার দাবি করেন।