সোমবার (২৮ অক্টোবর) ইসরায়েলি সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল-১২ এর প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার অধিকাংশ সদস্য ও দেশটির নিরাপত্তাবাহিনী এ প্রস্তাবের পক্ষে মত দিলে, নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্ত পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।এর আগে রোববার (২৭ অক্টোবর) মিসরের প্রেসিডেন্ট এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গাজায় দুদিনের এই যুদ্ধবিরতির মূল লক্ষ্য হলো একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের জন্য পথ তৈরি করা। প্রস্তাবে বলা হয়, হামাস চারজন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তির বিনিময়ে কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্ত করবে এবং এরপর ১০ দিনের মধ্যে আলোচনা করে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তবে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই প্রস্তাবের প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, ‘আলোচনা কেবল গাজায় হামলা চলাকালেই অনুষ্ঠিত হবে, অন্যকোনো পরিস্থিতিতে নয়।’ তার এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে যখন গাজার সাধারণ মানুষ ভয়ংকর মানবিক সংকটের মুখোমুখি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বেশিরভাগ ইসরায়েলি মন্ত্রী এবং নিরাপত্তাবাহিনী এই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের পক্ষে ছিলেন। যদিও নেতানিয়াহুর একক সিদ্ধান্তের কারণে মিসরের এই উদ্যোগের বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।
এদিকে গাজার বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ইসরায়েলের ধারণা অনুযায়ী, গাজায় হামাসের হাতে প্রায় ১০১ জন ইসরায়েলি বন্দি রয়েছে। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিমান হামলার কারণে বন্দিদের মধ্যে কয়েকজন হয়তো ইতোমধ্যে মারা গেছেন।
এ ছাড়া গাজার জনগণের জন্য এই সংকটময় পরিস্থিতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মিসরের উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু নেতানিয়াহুর নাকচ করার সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক মহলে কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করেছে। এ সিদ্ধান্ত গাজার মানুষের জীবনে আরও ভয়াবহতা নিয়ে আসবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।