আজ শনিবার ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে এই বৈঠক হয়।ভুটান থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রচারিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ২০২২ সালে টেকসই উন্নয়ন ফি (এডিএফ) নামে পর্যটকদের জন্য ২০০ ডলার ফি আরোপ করে ভুটান সরকার। তবে গত বছর এই ফি কমিয়ে ১০০ ডলার করা হয়। বাংলাদেশি পর্যটকদেরও এই ফি দিতে হয়। তবে ভারতের পর্যটকদের জন্য এই ফি ১৫ ডলারের মতো। আজকের বৈঠকে এই ফি কমাতে ভুটানকে অনুরোধ করা হয় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ভুটানের পররাষ্ট্রসচিব পেমা চোডেন নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে তাঁরা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিস্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, বিনিয়োগ, সংযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, পর্যটন, সংস্কৃতি এবং শিক্ষাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হন।
দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব ভুটানের রাজার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের সময় গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং সমঝোতা স্মারকগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন এবং দ্রুত ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। দুই পক্ষ পর্যটন বৃদ্ধি এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।
ভুটানের পররাষ্ট্রসচিব পেমা চোডেন বলেন, ভুটান বাংলাদেশের সঙ্গে আরও বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা এগিয়ে নিতে চায়।
উভয় পররাষ্ট্রসচিব দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা আশা প্রকাশ করেন সার্ক ও বিমসটেক প্রক্রিয়াকে পুনরুজ্জীবিত করতে কাজ করে যাবে দুই দেশ।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব থিম্পুতে বাংলাদেশ দূতাবাসের চ্যান্সারি ও আবাসিক নির্মাণ প্রকল্পের চলমান নির্মাণকাজের অগ্রগতি দেখতে নির্মাণস্থল পরিদর্শন করেন।
সফরকালে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিয়নপো ডি এন ধুংগেলের সঙ্গেও বৈঠক করেন মাসুদ বিন মোমেন। তাঁরা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, বিদ্যুৎ খাত, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা এবং আঞ্চলিক সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বাংলাদেশ-ভুটান-ইন্ডিয়া-নেপাল যানচলাচল চুক্তি (বিবিআইএনএমভিএ) কাঠামোতে পুনরায় যোগদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ভুটানকে আহ্বান জানান।