দুটি স্প্রে ক্যানন এবং ১০টি ব্রাউজারের মাধ্যমে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এসব অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিন দিয়ে পানি ছিটানো হচ্ছে। প্রতিটি গাড়িতে ১৫ হাজার লিটার পানি ধরে এবং একটানা ৫ ঘণ্টা স্প্রে করা সম্ভব হয়।
উত্তর সিটির মুখপাত্র মকবুল হোসাইন বলেন, প্রতিদিন ১০টি ওয়াটার ব্রাউজার প্রতিদিন চার লাখ লিটার পানি ছিটিয়ে থাকে। ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের নির্দেশে ছুটির দিনগুলোতেও পানি ছিটানো অব্যাহত থাকছে। পাশাপাশি ডিএনসিসির স্প্রে ক্যানন দিয়ে বিভিন্ন সড়কে পানি ছিটানোর কাজ চলছে। এটি বায়ু দূষণ রোধের পাশাপাশি উত্তাপ কমাতেও ভূমিকা রাখছে।
জানা গেছে, প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ডিএনসিসির আওতাধীন বিভিন্ন সড়কে এসব বিশেষ যানের মাধ্যমে পানি ছিটানো হচ্ছে। গত দুই দিনে দুটি স্প্রে ক্যানন এবং ১০টি ব্রাউজারের মাধ্যমে মিরপুর টেকনিক্যাল থেকে পানি ছিটানোর কাজ শুরু করা হয়। পরে মিরপুর-১ নম্বর গোল চত্বর, মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর, মিরপুর-১৪ নম্বর গোল চত্বর হয়ে আবার টেকনিক্যাল মোড়ে পানি ছিটানো হয়।
এছাড়া, বনানী নেভি গেট থেকে স্প্রের কাজ শুরু করে ক্যানন-১ এয়ারপোর্ট রোড ও উত্তরা হাউস বিল্ডিং হয়ে আবার বনানী কবরস্থান এলাকায় এসে কাজ শেষ করে। অন্যদিকে ক্যানন-২ মিরপুর রোড বা মাজার রোড সিগন্যাল থেকে স্প্রের কাজ শুরু করে। এরপর গণভবন এলাকায়, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, বিজয় সরণি, জাহাঙ্গীর গেট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, মগবাজার হয়ে গাবতলী গিয়ে পানি ছিটানো শেষ করে। আজও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।