শক্তি এবং র্যাঙ্কিংয়ে অস্ট্রেলিয়া ফুটবল দল বাংলাদেশের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে। প্রায় প্রতিটি ফুটবল বিশ্বকাপেই অংশ নেয়া দলটি সর্বশেষ বিশ্বকাপে খেলেছিল শেষ ষোল পর্যন্ত। আর্জেন্টিনার কাছে হেরে আসর থেকে বিদায় নিলেও বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের কঠিন সময় উপহার দিয়েছিল তারা। স্বাভাবিকভাবেই এমন দলের কাছে নাস্তানাবুদ হওয়ার কথা বাংলাদেশের।
তবে কিংস অ্যারেনায় হয়ে যাওয়া সর্বশেষ ম্যাচে ভালোই প্রতিরোধ দেখিয়েছে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়াকে আক্রমণাত্মক হওয়ার সুযোগ দিলেও রক্ষণে প্রতিরোধ দেখিয়েছে হাভিয়ের ক্যাবরেরার দল। কার্ড জটিলতার কারণে ওই ম্যাচের দলে ছিলেন না বিশ্বাসযোগ্য ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ। তবে গ্যালারিতে বসে সতীর্থদের লড়াই দেখেছেন তিনি।
মাঠে না থাকলেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের লড়াইয়ে সন্তুষ্ট বিশ্বনাথ। ঐ ম্যাচে দলের লড়াকু মনোভাব লেবাননের বিপক্ষে দেখাতে পারলে ভালো ফলাফল আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন এই ডিফেন্ডার, ‘দলের পরিস্থিতি এখন অনেকটাই ভালো। বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বড় একটা ম্যাচ খেলে এসেছি। সেই ম্যাচটা আমরা হারলেও আমাদের খেলোয়াড়রা যেভাবে খেলেছে এতে আমরা আশাবাদী। সেই পারফরম্যান্স এখানে করতে পারলে ভালো কিছু করে যেতে পারব এখান থেকে।’
লেবাননের বিপক্ষে ম্যাচটাই বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ। তাই জয় নিয়েই এই ম্যাচ শেষ করতে চান কোচ ক্যাবরেরা এবং তার শিষ্যরা, ‘আমাদের সব কিছু ঠিক মতোই চলছে। খেলোয়াড়রা গ্রুপ শেষ ইতিবাচক হিসেবেই করতে চায়।’
নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে কাতারের খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে হবে বাংলাদেশ-লেবানন ম্যাচ। খেলাকে সামনে রেখে গতকাল কাতারে রিকভারি সেশন সেরেছে বাংলাদেশ। আজ পূর্ণাঙ্গ অনুশীলন করার কথা রয়েছে জামাল ভূঁইয়াদের।
জুন মাসে কাতারে খেলা মানেই গরম একটা ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়। তবে কাতারের গরমকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন বিশ্বনাথ, ‘বাংলাদেশে এখন আমরা যে আবহাওয়ায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি। এখানেও অনেকটা সে রকমই খুব বেশি পার্থক্য নয়। উনিশ-বিশ আরকি।’ কোচ ক্যাবরেরারও গরম নিয়ে খুব একটা সমস্যা নেই, ‘দিনের বেলায় অবশ্যই অনেক গরম। তবে আমরা অনুশীলন করছি সন্ধ্যার দিকে। তখন তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে। ম্যাচও সন্ধ্যায়।’