মঙ্গলবার (২ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন।তিনি বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধানে গঠিত অনুসন্ধানকারী দল প্রাথমিক অনুসন্ধানে তার পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল পরিমাণে অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে। এসব সম্পদ বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জীশান মীর্জা, জ্যেষ্ঠ কন্যা ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং মেজো কন্যা তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে রয়েছে বলে দুদকের অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, বর্ণিত সম্পদ ছাড়ার অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণের নামে-বেনামে, দেশে-বিদেশে আরও স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে মর্মে তথ্য পাওয়া গেছে। তাই তাদের বরাবরে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(১) ধারা মোতাবেক পৃথক পৃথক সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারির বিষয়ে কমিশন কর্তৃক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তদানুযায়ী, সংশ্লিষ্টদের নামে সম্পদ বিবরণী নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে।u
এর আগে, দুর্নীতি ও বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে গত ২৩ ও ২৪ জুন দুদকে হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে অভিযোগের লিখিত বক্তব্য জমা দেয় বেনজীর পরিবার।
রাজধানী ঢাকাসহ অন্তত ১০ জেলায় সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। অন্য ৯টি জেলা হলো গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, সাতক্ষীরা, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, বান্দরবান ও কক্সবাজার। এসব জেলায় রয়েছে জমি, খামার, রিসোর্ট। সেন্টমার্টিন দ্বীপেও আছে জমি। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে বিভিন্ন জেলায় থাকা জমির পরিমাণ ২ হাজার ৩৮৫ বিঘা বা ৭৮৬ একর।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত গত ২৩ ও ২৬ মে বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের নামে থাকা ১৯৩টি দলিলের জমি, গুলশানের ৪টি ফ্ল্যাট ক্রোকের এবং বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ৩৩টি হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ১৯টি প্রতিষ্ঠানে তাদের নামে থাকা শেয়ার, ৩টি বিও হিসাব এবং ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধ করারও আদেশ দিয়েছেন আদালত।
প্রসঙ্গত, বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।