শুক্রবার (১২ জুলাই) রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে রাত ১টার মধ্যে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দরগুলোকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, শুক্রবার সকাল থেকে দেশের আটটি স্টেশনে অতি ভারি ও আটটি স্টেশনে ভারি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারে, ৩০৯ মিলিমিটার।
তিনি জানান, আগামীকাল শনিবারের (১৩ জুলাই) পর থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাবে। আর বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমলে দিনের তাপমাত্রাও কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে ভোর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টিতে বেড়েছে মানুষের ভোগান্তি। বিভিন্ন সড়কে কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও কোমরসমান পানি জমে গেছে, যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। আর এতে বিভিন্ন কাজে বাইরে বের হওয়া মানুষও পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, ঢাকায় সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এ বছর ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময় ২৪ ঘণ্টায় ২২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়। তবে অল্প সময়ে এত ভারি বৃষ্টিপাত সম্প্রতি হয়নি।