শনিবার (৩ আগস্ট) সকাল থেকে লৌহজং এর মাওয়া প্রান্তে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি পাশাপাশি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ১০টা বেলা ১১টার মধ্যে আন্দোলনকারীরা বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের ঢাকা-মাওয়া প্রান্তের পদ্মা সেতুর উত্তর থানা এলাকায় জড়ো হয়ে পদ্মা সেতুর যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিতে পারে, এমন একটি খবর মানুষের মুখে মুখে প্রচার হয়ে পড়ে। এরই প্রেক্ষিতে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে বিপুলসংখ্যক পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক আনাগোনা দেখা গেছে।
এদিকে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে সেনাবাহিনী, বিজিবিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে সেতু নিরাপত্তা রক্ষায় দেখা যায়। পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ৪-৫ জন ছাত্রছাত্রীদের অবস্থান করতে দেখা গেলে তাদের স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বারবার বুঝিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত মহাসড়কের কোথাও কোনো আন্দোলনকারীকে আবস্থান করতে দেখা যায়নি।
মাওয়া উত্তর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের এই প্রান্তে আন্দোলনকারীদের কোনো অবস্থান নেই। মাওয়া প্রান্তে তারা কোনো কর্মসূচি পালন করেনি। তবে বিভিন্ন স্থানে তাদের জড়ো হওয়ার খবর পেয়েছিলাম। কিন্তু বাস্তবে তা দেখা যায়নি। পদ্মা সেতু দেশের গৌরব। এটা রক্ষা করার দায়িত্ব সবার। তাই কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেই লক্ষ্যে স্থানীয় পুলিশ, নৌপুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ সেনাবাহিনী সর্বাত্মক অবস্থানে রয়েছে।
মেদিনীমন্ডল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজী আশ্রাফ হোসেন বলেন, আমাদের মাওয়া প্রান্তে সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কয়েকজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী এসেছিল, তাদের আমরা বোঝাতে সক্ষম হয়েছে। তারা এখান থেকে চলে গেছে। এখন যানবাহন চলাচল ও জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে।